ইয়েমেনের হোদেইদাহ প্রদেশের রাস ইসা বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরা টেলিভিশনের এক খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। লোহিত সাগরে বিভিন্ন দেশের জাহাজে হুথিদের হামলার ঘটনায় পাল্টা জবাব হিসেবে ইয়েমেনে হুথিদের একের পর এক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ তেলের ট্যাঙ্কারে হুথিদের হামলা
এর আগে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) একটি ব্রিটিশ তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এডেন উপসাগরে চালানো ওই হামলার পর ট্যাঙ্কারটিতে আগুন ধরে যায়। হুথিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নৌ-শাখা এই হামলা চালিয়েছে।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, বেশ কয়েকটি উপযুক্ত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে। মূলত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফলে গত দুই মাসে সেখান দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল কমেছে ৪৫ শতাংশ।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের নানা পদক্ষেপেও কমানো যাচ্ছে না বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির হামলা। তাদের দাবি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যকর করা। বৈশ্বিক বাণিজ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করা সংস্থাটি এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি, খাদ্য নিরাপত্তার অনিশ্চয়তার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
হুথিদের হামলার পর থেকেই শিপিং কোম্পানিগুলো লোহিত সাগর থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
অন্যদিকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লাগাম টানতে এবার চীনের কাছে সাহায্য চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধ করতে ইরান যেন ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বোঝায় সেজন্য তেহরানকে বোঝাতে বার বার চীনের কাছে সহায়তা চেয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এ বিষয়ে বেইজিংয়ের কাছ সহায়তা পাওয়ার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে পশ্চিমাদের ‘ঘুম হারাম’ করা এই হুথি কারা?
Advertisement
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল লিয়াইসন ডিপার্টমেন্ট অব চায়নাস কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা।
টিটিএন