নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারে আগুনে পুড়ে ২০টি দোকানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
Advertisement
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে রেলগেট সুপার মার্কেট, আজিজ মার্কেট ও বিওসি মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুনে তিন মার্কেটের কসমেটিকস, ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন সামগ্রীর অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে যায়। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
স্থানীয়রা জানান, রেলগেট সুপার মার্কেটে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে চৌমুহনী, মাইজদী, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
Advertisement
আগুনে পুড়ে যাওয়া সাইফুল ট্রেডার্সের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মার্কেট বন্ধ থাকায় আমি বাসায় ছিলাম। হঠাৎ খবর পেয়ে দোকানের সামনে এসে দেখি আমার সব পুড়ে ছাই। আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার সব কিছু পুড়ে গেছে।
তন্ময় ইলেকট্রনিকসের মালিক তন্ময় বলেন, মার্কেটের অনেকগুলো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চৌমুহনীতে কেন বার বার আগুন লাগে তা খতিয়ে দেখা উচিত। আমার মতো ছোট ছোট অনেকগুলো দোকান পুড়ে ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছে।
চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ১৫-২০টি দোকান পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের আগুন নেভাতে সহায়তা করে। পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে বের করা পণ্যসামগ্রী নিরাপদ রাখতে ভূমিকা পালন করে। তবে আগুনে ঠিক কতটি দোকান পুড়ে গেছে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
Advertisement
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে চৌমুহনী ও মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানো শুরু করে। পরে সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের দুইটিসহ মোট আটটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কেন বার বার আগুন লাগছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম