শিক্ষা

নটর ডেম কলেজ হলো সেন্টার অব এক্সিলেন্স: ঢাবি উপাচার্য

নটর ডেম কলেজকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

Advertisement

তিনি বলেন, নটর ডেম কলেজে যারা পড়ালেখা করেছেন, তাদের মধ্যে এমন একজন প্রাক্তনকেও পাওয়া যাবে না; যিনি কোনো না কোনোভাবে রাষ্ট্রে অবদান রাখেননি। কোনো না কোনোভাবে চারপাশের মানুষকে আলোকিত করেননি। সেই বিবেচনায় নটর ডেম কলেজকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স বলতেই পারি।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আরামবাগে নটর ডেম কলেজ প্রাঙ্গণে ৭৫ বছরপূর্তি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ৭৫তম বর্ষে এখানে যাদের দেখছি, তাতে বোঝা যায় এ কলেজের প্রভাব সমাজ ও রাষ্ট্রে কতটা বেশি। এমন অনেক কলেজ আছে, যেগুলো খুব ভালোভাবে শুরু করলেও রাজনীতি, গভর্নিং বডিসহ বিভিন্ন প্রভাবের কারণে তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। সেই জায়গায় নটর ডেম কলেজ ব্যতিক্রম। কলেজটি প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান ও প্রভাব টিকিয়ে রাখতে পেরেছে।

Advertisement

তিনি বলেন, আমি এ কলেজের শিক্ষার্থী নই। আমার বড় ভাই ও ছেলে এ কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। ভাই ও ছেলের কাছ থেকে যতটুকু শুনেছি, নটর ডেম কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা মানসম্মত ও যুগোপযোগী। তবে যখনই এ আঙিনায় আসি, মনে হয় একটি সুশৃঙ্খল জায়গায় এসেছি। যতদিন এসেছি, শিক্ষকদের কমন রুমে টাটকা বন ও গরম কফি খেয়েছি। এগুলো বলার কারণ হলো- নটর ডেম কলেজ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সেই পরিবেশ দিতে সক্ষম হয়েছে।

ঢাবি উপ-উপাচার্য বলেন, নটর ডেম কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রম অনেক শক্তিশালী। এখানে ২৪টি ক্লাব রয়েছে এবং সবগুলো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। এগুলো না থাকলে একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ বিকাশ হয় না। আশা করি, নটর ডেম কলেজ প্রকৃত মানবসম্পদ সৃষ্টির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।

‘প্রদীপ্ত প্রত্যয়ে প্রজ্বলিত ৭৫’ স্লোগানকে ধারণা করে তিনদিনের উৎসবের দ্বিতীয় দিনে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও নটর ডেমের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষক আনিস আহমেদ।

দ্বিতীয় দিনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন ছিল র্যাফেল ড্র। বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক পর্বে। মঞ্চনাটকের পাশাপাশি থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের মিউজিক্যাল পারফরমেন্স।

Advertisement

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সমাপনী দিনও নানান অনুষ্ঠানে সাজানো হয়েছে। শেষ দিনের অনুষ্ঠানমালা দুই ভাগে ভাগ করে আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে পুরস্কার বিতরণ, ক্রেস্ট প্রদান, আলোচনা ও শেষ পর্বে নৈশভোজসহ স্মৃতিচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। শেষ দিনে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেবেন মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আরমা দত্ত এবং পর্বতারোহী এম এ মুহিত।

এএএইচ/এমআরএম/এএসএম