আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে আইসিজের রায়ে কী আসতে পারে?

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করতে পারে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) অধিবেশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।

Advertisement

গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে গত ২৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই মামলার কিছু দাবির বিষয়েই আজ রায় দেবে আইসিজে।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।

Advertisement

ফিলিস্তিনিদের জোরালোভাবে সমর্থন করে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়টি বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে- গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করা, যেটিকে ‘গণহত্যা’ বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই বিষয়ে কোনো রায় আসতে সময় লাগতে পারে এবং সেটি কয়েক বছরও হতে পারে।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করায় দ. আফ্রিকার ওপর ক্ষুব্ধ আমেরিকা

যদিও গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যকে বিকৃত করেছে। ইসরায়েল আরও বলেছে, তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং তারা হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষদের বিরুদ্ধে নয়।

Advertisement

বিচারকদের দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধ খারিজ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।

রায়ে কী আসতে পারে?শুক্রবার এ বিষয়ে রায় প্রদানের জন্য ১৭ জন বিচারককে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

প্রথমত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগ ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় পড়ে কি না সেটি নিশ্চিত হতে হবে।

আরও পড়ুন>> ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা, শতাধিক হতাহত

দ্বিতীয়ত, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকলে তা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করে কি না।

রায়ের পর কী হবে?বিচারক পরিষদ ইসরায়েলকে কেবল আন্তর্জাতিক আইন মেনে কার্যক্রম চালানোর নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারে। সেইসঙ্গে, তারা যেন খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো বাধা না দেয়, তা নিশ্চিত করার জন্য বলতে পারে।

আন্তর্জাতিক আদালতের কেবল পরামর্শমূলক মত দেওয়ার ক্ষমতা আছে। রায় আইনি প্রক্রিয়ায় দেওয়া হলেও সেটি প্রয়োগে এই আদালত জোর করতে পারে না।

তবে এই রায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে। তাদের শক্তিশালী আন্তর্জাতিক মিত্রদের ওপরও চাপ বাড়বে। প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের তাগিদও থাকতে পারে এই রায়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলাকেএএ/