ভারতের আসাম রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের বক্সীরহাটে সারা ভারত জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসের সভাপতি তথা বহরমপুর কেন্দ্রে সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীসহ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। কোচবিহার সদর মহকুমার খাগড়াবাড়ি, মা ভবানী এলাকায় পদযাত্রা করার কথা রাহুল গান্ধীর।
Advertisement
আরও পড়ুন: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মমতা, গাড়ির ঝাঁকুনিতে ফাটলো কপাল
গত ১৪ জানুয়ারি ভারতের মনিপুরের ইম্ফল থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। মনিপুর, আসাম, মেঘালয় হয়ে ফের আসাম হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে প্রবেশ করেছে এই কর্মসূচি। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীর এই যাত্রা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘোরার পরিকল্পনা রয়েছে।
কোচবিহারে পৌঁছে রাহুল গান্ধী এক সভায় অংশ নেন। সে সময় তিনি বলেন, বিজেপি এবং আরএসএস পুরো দেশে অন্যায় করছে, হিংসা ছড়াচ্ছে। আর সেজন্যই ‘ইন্ডিয়া’ জোট ন্যায়ের জন্য লড়াই করছে। এবার আমরা এই যাত্রায় ন্যায় শব্দটি যুক্ত করেছি, কারণ দেশে অন্যায় হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের কর্মীরা যেভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। রাহুলের সভামঞ্চে ওঠার জন্য কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
Advertisement
তবে জাতীয় কংগ্রেসের নেতা তথা জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ পশ্চিমবঙ্গে কোচবিহারে প্রবেশ করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ওরা যে আজ থেকে যাত্রা করছে আমাদের একবারও জানায়নি। এটা একটা বিশ্বাসের ব্যাপার, আমি ইন্ডিয়ার অ্যালায়েন্সের জোটের সঙ্গী। আমাকে একবারও জানিয়েছে কি যে, দিদি আপনার রাজ্যে যাচ্ছি! না জানায়নি।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সুমন রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, যিনি একবার বিশ্বাসঘাতকতা করেন তিনি সবসময় বিশ্বাসঘাতকতা করেন। মাননীয়ার ইতিহাস আছে। তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তিনি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, সবাই জানে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র বিষয়ে। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেনা। কেননা আরএসএস ওনাকে বলেছে, যে আপনি এখন রাহুল গান্ধীর সম্পর্কে একটু বিষোদগার করুন, উনি বিষোদগার করছেন। কেননা উনি চায়না যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। উনি চাইছে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে সেই কারণেই এই ধরনের বক্তব্য রাখছেন।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে ঝড়ের কবলে মমতার হেলিকপ্টার, জরুরি অবতরণ
Advertisement
এদিকে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার পরেই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ২৯ জানুয়ারি কলকাতার মেচেদার একটি কর্মী সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এছাড়াও সেদিন বিকেলে সায়েন্সসিটিতে বৈঠক করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
ডিডি/টিটিএন