ফিচার

নীলক্ষেতে পুরোনো বইয়ের ঘ্রাণ

ইমন ইসলাম

Advertisement

নীলক্ষেত। বইয়ের রাজ্য হিসেবে যার খ্যাতি রয়েছে। বইয়ের বাজার বলতেই চোখেমুখে ভেসে ওঠে যার নাম। কম দামে সব ধরনের বই কিনতে বইপ্রেমী ও শিক্ষার্থীদের প্রথম গন্তব্য নীলক্ষেত। নতুন পুরোনো বইয়ের মেলা বসে প্রতিদিন এখানে। বইপ্রেমীদের কাছে নীলক্ষেত জনপ্রিয় দেশি-বিদেশি পুরোনো বইয়ের বাজার হিসেবে।

পুরোনো বইগুলো যেমন খুব কম দামে পাওয়া যায়, তেমনি অনেক সময় মিলে যায় অনেক দুর্লভ বইও। বিভিন্ন পাঠাগার ও ব্যক্তির সংগ্রহ থেকে ভালো ভালো বইও এই বাজারে চলে আসে। মার্কেটের দোকান ছাড়াও রয়েছে ফুটপাতের হরেক রকম বইয়ের দোকান। বই ছাড়াও এখানে পাবেন হরেক রকমের প্যাড, ডায়েরি, কলম ও উপহার সামগ্রী।

নীলক্ষেত শুধু রাজধানী ঢাকার একটি জায়গার নাম নয়। নীলক্ষেত শব্দটায় অন্যরকম এক গভীর দ্যোতনা আছে, তাৎপর্য-মাধুর্য আছে। যা এ শহরের পডুয়ারা ঠিকই জানেন এবং বোঝেন। নীলক্ষেত দেশি-বিদেশি পুরোনো বইয়ের আড়ত-যা এক জ্ঞানপীঠের নাম। যে আড়তে ঢুঁ না-মারলে বইপ্রেমীদের জীবনই যে বৃথা- অনিবার্য সত্যটি যেন এক রকম অবধারিত ভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

Advertisement

কথায় আছে বই মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে শেখায়। আমার কাছে মনে হয় বইয়ের গন্ধ মানুষকে স্বপ্ন দেখায়। তবে সেটা গন্ধ নাকি সুগন্ধ বোঝার জন্য অবশ্যই আপনাকে বই প্রেমিক হতে হবে না। একটা লম্বা নাক থাকলেই হবে। সেই সঙ্গে বইয়ের গন্ধ কীভাবে স্বপ্ন দেখায় এটা উপলব্ধি করতে আপনাকে অবশ্যই বই নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। যাদের কাছে চোখ বন্ধ করলেই বই আর নাক খুললেই বইয়ের গন্ধ, তাদের স্বর্গ রাজ্য ঐ নীলক্ষেত।

আরও পড়ুন: ১০ টাকায় জোহরার মুখরোচক ছোলাবুট 

ব্রি টিশরা এ দেশে আসার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় নীল চাষ শুরু করে। সেই সময় ঢাকার নীলক্ষেত এলাকার বিরাট প্রান্তর জুড়ে নীল চাষ করা হতো। দীর্ঘকাল ধরে সেই নীল চাষ চলে। প্রচুর নীল উৎপন্ন হতো বলেই আজও নীলক্ষেতের নামের সঙ্গে নীল শব্দটি জড়িয়ে আছে। নীলক্ষেত এলাকার নামকরণ করা হয় নীল চাষের স্থান থেকে। তবে সেগুলো বইয়ের পাতার ইতিহাস। এখন নীলক্ষেতে শুধুই বই চাষ হয় অনেকটা বইয়ের নীল। চাইলেই আপনি হারিয়ে যেতে পারবেন সেই নীল প্রান্তরে।

লাইব্রেরি থেকে আমাদের পড়ালেখা অনেক আগেই ফটোকপি বা শিটে চলে এসেছে। এসবের ওপর নির্ভর করেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চলছে। নীলক্ষেতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি সেকথাই প্রমাণ করে।

Advertisement

নতুন বই কেনার টাকা না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। সব ক্লাসের সব ধরনের পুরোনো বই পাবেন এখানে। সাধারণ জ্ঞান, একাডেমিক বই, চাকরির নিয়োগের বইসমূহ, মেডিকেলের বই, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বই, আইটি বিষয়ক বই, আইনের বই, ইংরেজি সাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, গবেষণার বইসমূহ, বিবিধ বইয়ের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। প্রথমে মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্ররাই ছিল এই বাজারের একচ্ছত্র ক্রেতা। এখন ভর্তি পরীক্ষা, বিসিএস, চাকরির পরীক্ষা, মাদ্রাসা, ইংরেজি মিডিয়াম, সামরিক বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বই, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো ক্ষেত্রই বাদ নেই।

বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে কাগজের মূল্যবৃদ্ধি নতুন ঘটনা নয়। যার দরুন সব বইয়ের দাম তুলনামূলক হারে কিছুটা বেশি। যারা শিক্ষার্থী, তাদের অধিকাংশেরই আর্থিক সমস্যা লেগেই থাকে। টিউশনি করিয়ে কোনো মতো জীবনপাত করে টিকে থাকাই কঠিন। সেখানে বেশি দামে বই কিনে পড়া অনেকটাই অসম্ভব। তাই সব সময় নতুন বই কেনা সম্ভব হয় না তাদের। একারণেই শিক্ষার্থী ও পাঠকের কাছে নীলক্ষেত এক প্রশান্তির জায়গা। এখানে অনেক কম দামে উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ, প্রাচীন পুথি ছাড়াও অনেক সময় দুষ্প্রাপ্য পাণ্ডুলিপিও পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশি-বিদেশি ফিকশন, নন-ফিকশন, ডিটেকটিভ উপন্যাস, ম্যাগাজিন ইত্যাদি পাওয়া যায় এখানে। অনেক শিক্ষার্থী এখান থেকে তাদের পছন্দের মিথ সংগ্রহ করেন।

মার্কেটের শেষ দিকে টাইপিং ও বাইন্ডিং দোকানের পসরা। বই কেনার পাশাপাশি পুরোনো বই মেরামত বা বাঁধাই করার সবচেয়ে বড় স্থান হলো নীলক্ষেত। এছাড়া বিদেশি ভাষার অনলাইন থেকে নামিয়ে নেওয়া নতুন বই বাঁধাই করার জন্য খ্যাতি রয়েছে নীলক্ষেতের। পুরোনো বই বিক্রি করার জন্য নীলক্ষেত আদর্শ একটি জায়গা। এখানে কম খরচে বই ফটোকপি করে আনতে পারেন এবং ফটোকপি শিটগুলো একদম বইয়ের মতো করে বাঁধাই করে দিতে দক্ষ কারিগর আছেন এখানে।

বেলা দুইটার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হই। গন্তব্য নীলক্ষেত। নিউ মার্কেটের দ্বিতীয় ওভার ব্রিজের নিচে নামতেই মানুষের ভিড়ে যেন মিলিয়ে গেলাম। নীলক্ষেতের আসল চেহারাটা মনে হয় এরকমই। হাজার হাজার মানুষের ঢল। অতিষ্ঠ হয়ে বিরক্ত বোধ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বইয়ের মার্কেটের ভেতর ঢুকেই হকচকিয়ে গেলাম। এ যেন বইয়ের জনসমুদ্র। মানুষের ভিড় এড়িয়ে এবার যেন বইয়ের ভিড়ে হারিয়ে গেলাম। ডানে-বামে, উপরে-নিচে, যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু বই আর বই।

বইয়ের মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলো। যারা এসেছে বই কিনতে। ইমন আহমেদ, রাজন দেবনাথ ও মেহেদী হাসান নামের তিনজন শিক্ষার্থীই সেলফ ডেভেলপমেন্টের বই পড়তে পছন্দ করেন। ইমন আহমেদ নামের শিক্ষার্থী জানালেন আমার বই পড়তে ভালো লাগে। সেলফ ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি সাইকোলজির বইয়ের প্রতিও তার আগ্রহ আছে। প্রায়ই বই কিনতে এখানে আসেন। তার কলেজের খুব কাছে হওয়ায় খুব সুবিধা হয়। কম খরচে পুরোনো বই কিনতে পারেন।

আরও পড়ুন: শখ থেকে দেলোয়ারের বাণিজ্যিক নার্সারি 

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বইগুলোর সিংহভাগই পাশ্চাত্যের ও বিদেশি লেখকদের। এজন্য ডিপার্টমেন্টের সেমিনার গুলোতে কিছু কিছু বই সংগ্রহে থাকলেও এতো দামি দামি বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় না। এজন্য সেমিনার থেকে তারা বই ফটোকপি করে পড়েন। এছাড়া নীলক্ষেতের বই মার্কেট থেকে ফটোকপি বই কিনেও অনেকে পড়েন। আবার অনেক শিক্ষার্থী পুরোনো নোট শিট নির্ভর পড়াশোনায় ঝোঁকেন। এর পেছনে একটি কারণ, সিলেবাসের অপরিবর্তনশীলতা। দেখা যায়, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর তৈরি করা এক শিট দিয়েই বছরের পর বছর পরীক্ষা চলছে। যেহেতু পরীক্ষার প্রশ্নগুলোতেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো থেকেই করা হয় তাই এক নোট দিয়েই পার হওয়া যায় খুব সহজেই।

পুরোনো বইয়ের সম্ভার। মার্কেটের রাস্তার পাশের ফুটপাতে সাজানো আছে পুরোনো বই। যা পুরোনো বইয়ের মার্কেট বা বাজার নামে পরিচিত। এই ঐতিহ্যবাহী পুরোনো বইয়ের দোকানে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পরিবারের একমাত্র ভরসাস্থল। সল্প দামে ভালো বই পাওয়ায় সবাই এখানে ভিড় করেন। অল্প খরচেই বই কিনে যেমন নিজের প্রয়োজন মেটান শিক্ষার্থীরা তেমন বই বিক্রির অর্থ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শত শত পরিবার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, একাডেমিক, এডমিশন, জব প্রিপারেশনসহ সব ধরনের বই সারি সারি সাজানো আছে সেখানে। নতুন বইয়ের দোকানের কাছে হওয়ায় সব সময় শিক্ষার্থীদের আনাগোনাও দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। এখানে প্রায় অনেকগুলো পুরোনো বইয়েরে দোকান আছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার বই কেনাবেচা হয়। দামে কম হওয়ার বইপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এসব অস্থায়ী বইয়ের দোকান। সব ধরণের ক্রেতারাই এসব দোকান থেকে বই সংগ্রহ করছেন।

নীলক্ষেতের ফুটপাতে বই বিক্রি করতে দেখা যায় মোহাম্মদ মাহিন নামের এক ব্যক্তিকে। কথা বলে জানতে পারি ২২ বছর ধরে তিনি বইয়ের ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন ধরনের নতুন পুরোনো বই আছে তার দোকানে। বললেন নতুন বইয়ের চেয়ে পুরোনো বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেশি পাঠকদের। তাই তাদের চাহিদা মতো বই রাখি। এখন উপন্যাসের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। সামনে বই মেলা। বেচা বিক্রি বাড়ার আশা তার।

তিনি আরও জানান, তাদের দৈনিক ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মত বই বিক্রি হয়। পুরোনো বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মে, জুন ও জুলাই মাসে। এই সময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হয়। এছাড়া অনার্সে ভর্তি চলে। ফলে তাদের বেচা-কেনা তুলনামূলক বেড়ে যায়

বলা হয়ে থাকে, যে বইটি পড়া হয়নি সেটিই আসলে নতুন বই। বই কবে প্রকাশিত হলো তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন পাঠক। তাদের কাছে আজকে যে বইটি প্রকাশ হলো সেটি যেমন নতুন একইভাবে অনেক বছর আগে প্রকাশ হওয়া অপঠিত বইটিও নতুন। শুধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলীর মতো যুগান্তকারী সাহিত্যিকদের বই নয় বরং পরবর্তী সময়ের অনেক কীর্তিমান সাহিত্যিকের বইও বিক্রি হচ্ছে নীলক্ষেতের বইয়ের দোকানগুলোতে।

নীলক্ষেতের পুরোনো বই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলো। জানালেন, এসব বইগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। সবই যেহেতু পুরোনো বই, তাই এগুলো কেউ না কেউ বিক্রি করার পরই নীলক্ষেতের বাজারে আসে। সাধারণত ভাঙারির দোকান, বাংলাবাজার ও ফেরিওয়ালার কাছ থেকেই বইগুলো বাজারে ওঠে। মাঝেমধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্রন্থাগার থেকেও পুরোনো সংস্করণের বইগুলো আনা হয়। অনেকে আবার ব্যক্তিগত সংগ্রহের বইও বিক্রি করেন।

পুরোনো বই বিক্রেতা আব্দুল লতিফ মিয়া বললেন, ‘২০ বছর হইয়া গেছে পুরান বই বেচতাছি। আমরা সব ধরনের বই-ই বেচি। এখানে পাওয়া যাইবো না এমন কোনো বই নাই। যেসব বই আর নতুন পাওয়া যাইবো না, সেগুলার পুরান সংস্করণও এইখানে আছে। তয়, খুঁজে নিতে হইবো।’

নীলক্ষেতের এ বাজারে মিলবে ইংরেজি মিডিয়াম এবং বাংলা মিডিয়ামের সব বই। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সব বিভাগের সব ধরনের বইয়ের দেখা পাবেন এখানে। এমনকি গবেষণার ওপরও পাওয়া যাবে নানা রকম বিষয়ভিত্তিক বই। পাঠ্যবই ছাড়াও রয়েছে গল্প, কবিতা, কৌতুক, সাধারণ জ্ঞান, চাকরি ও ভর্তির প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই। পাঠ্যবইয়ের বাইরে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ইংরেজি বইও নজরে পড়বে এ বইয়ের বাজারে।

আরও পড়ুন: ধুলি দূষণে ভালো নেই রাজধানীর বৃক্ষ ও প্রাণীকুল! 

ঘুরতে ঘুরতে একটি পুরোনো ইংরেজি বইয়ের দোকানে দেখা হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তার নাম ইসমাত জাহান অন্তরা। তিনি বললেন, ‘আগে খুব বেশি আসতাম, এখন সেরকম সুযোগ পাই না, তবে মাঝেমধ্যেই আসি। এমন অনেক বই আছে যেগুলো এখানে ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। মূলত বিষয়ভিত্তিক বই-ই কিনি। এই যেমন-পেশাগত পদ্ধতি, ধর্মীয় ইতিহাস, পরিসংখ্যান, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং নগর-পরিকল্পনা। মনে ধরলে গল্প-কবিতার বইও কিনি।’

বই মার্কেটে ঢুকতেই চোখে পড়লো আজমাইন বুকশপ নামের এক দোকান। দোকানদার আমাকে দেখতেই ডাক ছাড়লেন। বললেন কি বই লাগবে আপনার। তার দোকানে নতুন বইয়ের সংখ্যাই বেশি চোখে পড়লো। বললেন নতুন বছরের প্রথম মাস। এখন বেচা বিক্রি একটু কম হচ্ছে। এখন স্কুল কলেজের বই বিক্রি বেশী। আমার দোকানে ইসলামী, গল্প, উপন্যাস অনুবাদ ও বাংলা সাহিত্যের বই পাওয়া যায়। তিনিও বললেন মার্চের দিকে বই বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

ফুটপাতে দাড়িয়ে আছি। একজন বয়স্ক লোককে হেঁটে যেতে দেখলাম। পরক্ষণেই তার চলার গতি কমে গেল। হঠাৎ ফুটপাতের পুরোনো বইয়ের মাঝে তার চোখ আটকে যায়। বইটি হাতে নিয়ে কিছু সময় পাতা উল্টাতে লাগলেন। বেশ মলিন বইটি। নিমিষেই বইটি হাতে নিয়ে তার মূল্য জানতে চাইলেন। বিক্রেতা জানালো ২০০ টাকা। তা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা কারওই নেই কোনো চিন্তা কিংবা আবেগ। বইটি কিছুটা মলিন হওয়ায় দরদাম করে ১৫০ টাকায় কিনে নিলেন লোকটি।

লেখক: শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

কেএসকে/জিকেএস