সময়মতো সেচের পানি না পাওয়ায় খালি পড়ে রয়েছে শত শত হেক্টর জমি। মৌসুমের শুরুতে জমিতে পানি সেচে ধীরগতি হওয়ায় আবাদি জমিতে এখন ঘাস জন্মেছে। আর এসব ঘাস ও খড়কুটা পরিষ্কার করতে করতে জমিতে ফসল রোপণের সময়ও চলে যাচ্ছে।
Advertisement
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পাতানিশ, বলিয়া, বেলঘর দক্ষিণ, হাড়িয়াইন উত্তর, লাউকরা পশ্চিম, রাজাপুরা দক্ষিণ, আকানিয়া পশ্চিম, পদুয়া কৃষি মাঠসহ প্রায় এক হাজার একর আবাদি জমিতে পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছে না।
কিছু মাঠে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের মোটর থাকলেও পরিচালনার অভাবে কৃষকদের ইরি-বোরো চাষাবাদে তেমন কোনো কাজে আসছে না। অন্যদিকে সেচের পানির জন্য কৃষদের অর্থায়নে নিজেরাই খনন করছেন খাল। স্কিম ম্যানেজার ও কৃষকদের দাবি পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে খালগুলো খনন করে স্থায়ী পাকাকরণ বাস্তবায়ন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার পাতানিশ গ্রামের কৃষক মফিজুল আলম, মমিন ও লোকমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, পানি নিষ্কাশনের জটিলতার কারণে মাঠের কিছু অংশে দুই ধরনের ফসল উৎপাদনের সুযোগ থাকে। গত ২০-২৫ বছর ধরে সেচ প্রকল্পের জটিলতা দেখা দিলে অনেক আবাদি জমি চাষাবাদ ছাড়াই পড়ে থাকে। এরমধ্যে উপজেলা বিএডিসি আওতায় মাঠের কিছু অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সঠিকভাবে পানি পাচ্ছে না। ফলে নিজেদের অর্থায়ন ও চেষ্টায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফসলি জমি টিকিয়ে রাখতে ড্রেনেজগুলো পাকাকরণ ও সঠিক সময়ে পানি চান কৃষকরা।
Advertisement
বিএডিসির স্কিম ম্যানেজার মো. রাশেদ আলম বলেন, ড্রেজেন খনন করতে অনেক শ্রমিক লাগে। সরকার যদি প্রকল্পের মাধ্যমে ড্রেনগুলো পাকা করতো, তাহলে খুব দ্রুত পানি সরবরাহ হতো। কৃষকদের চাষ করতে দেরি হতো না। এখন সেচের পানি আসতে দেরি হওয়ার অনেক কৃষক ধান আবাদ ছেড়ে দিয়েছে। আর যদি পাকা ড্রেন হয়ে যায় কৃষকরা আনন্দ উৎসব করে কৃষি কাজ করতো পারত।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী ইমরুল কায়েস মির্জা কিরণ বলেন, বিএডিসির জোনের আওতায় চাঁদপুর জেলায় ১৪২টি সেচ পাম্প চালু করা হয়েছে। কিছু স্থানে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে দ্রুততার সঙ্গে সাপোর্ট দেওয়া হবে। পুরো জেলায় চাহিদা মেটাতে হলে আরও বৃহত্তর বরাদ্দ ও প্রকল্পের প্রয়োজন আছে বলে জানান বিএডিসির এ কর্মকর্তা।
শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস
Advertisement