২০২৩ সালে সাগরে অন্তত ৫৬৯ রোহিঙ্গা মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভ্রমণ করার সময় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
সংস্থাটির শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আন্দামান সাগর ও বঙ্গপসাগরজুড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকায় উঠে। তারা হয় বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প অথবা মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন>ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮
বলা হয়েছে, গত বছর যারা ঝুঁকিপূর্ণ পথে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতি আটজনে একজন হয় মারা গেছেন না হয় নিখোঁজ হয়েছেন।
Advertisement
২০১৭ সালে মিয়ানমারে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যেসব রোহিঙ্গা অবশিষ্ট রয়েছেন তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বসবাস করছেন ক্যাম্পে। তিন বছর আগে মিয়নামারে অং সান সুচিকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরই শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন।
গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এক হাজার পাঁচশ এর বেশি রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্তে কাঠের নৌকায় করে অবতরণ করে। এসময় সাগর সাধারণত শান্ত থাকে।
আরও পড়ুন>ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ২
Advertisement
তবে আগে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হলেও সম্প্রতি তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় মানুষ এখন আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি নয়। সেখানে রোহিঙ্গাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম