বাজার স্থিতিশীল রাখতে দেশের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
Advertisement
তিনি বলেছেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও সাপ্লাই চেইনে অব্যবস্থাপনার কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে না। এ অবস্থায় বাজারে পণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা সুসংহতকরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, হস্তশিল্পকে চলতি বছরের জন্য বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা হস্তশিল্পের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্যের প্রসারের লক্ষ্যে ‘একটি গ্রাম-একটি পণ্য’ উদ্যোগ নেওয়া হবে। যার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
Advertisement
পণ্য আমদানিতে এলসি জটিলতা বিষয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের উদ্যোক্তারা এলসি খুলছেন, তবে বিষয়টি মূলত নির্ভর করে ব্যাংক ও আমদানিকারকের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের এরই মধ্যে ভুটান, ডি-৮ এবং আপটা-এর সঙ্গে তিনটি ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ এবং ‘সাফটা’ ও ‘সার্ক এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিসেস (এসএটিআইএস)’ দুটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) রয়েছে। এছাড়া আরও ১২টি দেশের সঙ্গে ‘পিটিএ’ ও ‘এফটিএ’ চুক্তি সই করার লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসব চুক্তি দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় গন্তব্যের দেশসমূহের সঙ্গে পিটিএ এবং এফটিএ চুক্তি স্বাক্ষরে উদ্যোগী হওয়ার প্রতি জোর দেন ডিসিসিআই সভাপতি।
এসময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী এবং সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ইএআর/এমকেআর/জেআইএম