৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সরকার তাদের মেয়াদের প্রথম বছর শেষ করতে যাচ্ছে। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে অবৈধ বলে চিৎকার করলেও গত এক বছরে বড় ধরনের কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি।এক্ষেত্রে দলের উচ্চ পদস্থ নেতাদের মতের অমিল ও আন্দোলনের পদ্ধতি নির্বাচনের ব্যর্থতায় দায়ি বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বৃহত্তর এ দলটি যখনই কোন আন্দোলন নিয়ে মাঠ গরমের চেষ্টা করেছে, ঠিক তখনই সরকারের নতুন টোপের কাছে তাদের কৌশল হার মেনেছে।সর্বশেষ রমযান ও কুরবানির ঈদের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিলে তাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের তেমন সম্পৃক্ত করতে পারেনি বিএনপি। তাই নতুন করে আন্দোনের জন্য জানুয়ারী মাসে কর্মসূচী দেওয়ার কথা ভাবেছে দলটি। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচনকে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করছে বলে বিএনপির নেতারা মনে করছেন।সূত্র জানায়, বিএনপি যখন সরকার পতন অন্দোলনের কথা বলছে তখন সরকার ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু করায় রাজনীতিতে নতুন মোড় দেখা দিতে পারে। অপর এক সূত্র জানায়, একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বিদেশীরা তাদের অনেক চাপে রাখবে বিএনপির এই ধারণা ইত্যোমধ্যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ফলে জানুয়ারিতে তাদের সরকার পতন আন্দোলন পাশাপাশি ডিসিসি নির্বাচন নিয়েও চিন্তায় পড়েছে বিএনপি।অবশ্য ডিসিসির নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিন তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলন ভন্ডুল করতেই সরকার ডিসিসি নির্বাচনের কথা বলছে। কিন্তু নির্বাচনের কথা বলে সরকার আন্দোলন ঠেকাতে পারবে না। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, ডিসিসির তফসিল ঘোষণা বা নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসার আগে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, সরকার আসলেই ডিসিসি নির্বাচন দেয় কি না সেটাও এক প্রশ্ন। আর নির্বাচন দিলে তাতে অংশ নেবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও।দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আন্দোলন দমন করতেই মূলত সরকার ডিসিসি নির্বাচনের কথা বলছে। এটাকে তারা টোপ হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন সরকারবিরোধী গণআন্দোলন দমন করা যাবে না।
Advertisement