শীত বেশ জাঁকিয়ে পড়ছে। আর এ কারণে ঘরে ঘরে এখন সর্দি-কাশির রোগীও বাড়ছে। জ্বর-সর্দি কয়েকদিনের মধ্যে কমে গেলেও কাশি সহজে সারতে চায় না। আর ২ সপ্তাহের বেশি কাশি হলে তা অগ্রাহ্য করাও ঠিক নয়।
Advertisement
কারণ কাশি বিভিন্ন কঠিন রোগের আগাম লক্ষণও হতে পারে। তবে ঠিক কোন কোন লক্ষণ থাকলে বোঝা যাবে যে কাশির পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো গুরুতর অসুখ?
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্তি লাগছে, কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
১. কাশতে কাশতে মুখ দিয়ে রক্ত উঠলে২. কফে রক্ত থাকলে৩. দুই সপ্তাহের বেশি কাশি হলে৪. কাশির সঙ্গে গলার স্বরে বদলে এলে৫. কফের রং সবুজ-কিংবা হলুদ হয়ে গেলে
Advertisement
কাশির সঙ্গে এসব লক্ষণকে হালকাভাবে নেওয়া চলবে না। বরং এই পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন: একটানা কাশি হচ্ছে, সাধারণ ঠান্ডা নাকি অন্য কোনো কারণ?
কাশি কোন কোন রোগের উপসর্গ?
টিবি
Advertisement
কাশির সঙ্গে উপরোক্ত কোনো লক্ষণ থাকলে তা টিবি বা ক্যানসারের মতো জটিল অসুখের দিকেও ইঙ্গিত করতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তার পরামর্শ অনুযায়ী চেস্ট এক্স রে, চেস্ট সিটি স্ক্যান ও স্পুটাম টেস্ট করে ফেলা জরুরি। তারপর টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে হবে।
এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে টিবি রোগটিকে নিয়ে ভীষণই আতঙ্ক আছে। তবে সত্যি বলতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে খুব সহজেই এই রোগকে বশে আনা সম্ভব।
আরও পড়ুন: শীতে পানিশূন্যতায় ভুগছেন কি না বুঝে নিন ৯ লক্ষণে
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ড্রাগ রেজিস্টেন্স টিবি’র প্রকোপ বাড়ছে। তাই এখন প্রথমেই রোগীর একটা সিভি ন্যাট টেস্ট করে নেওয়া হয়।
এই টেস্টের মাধ্যমেই রোগীর শরীরে ড্রাগ রেজিস্টেন্স টিবি’র জীবাণু আছে কি না তা জানা সম্ভব। তারপর সেই মতো চিকিৎসা চলে।
ক্যানসার
অনেক সময় অত্যধিক কাশির পেছনে থাকতে পারে ক্যানসারও। তাই কাশির সঙ্গে রক্ত উঠলে ঝটপট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তিনি ব্রঙ্কোস্কোপি করানোর পরামর্শ দিলে, তা করে ফেলুন। আর তাতে ক্যানসার ধরা পড়লে রেডিয়েশন থেরাপি ও কেমোর সাহায্য নিন।
সূত্র: মায়োক্লিনিক
জেএমএস/জিকেএস