খেলাধুলা

উইকেট ঠিকই আছে, সমস্যা ব্যাটারদেরই

৩ দিন খেলা হয়ে গেল; কিন্তু শেরে বাংলায় প্রথম বা দিনের ম্যাচে একবারও ‘বিগ’ স্কোর হলো না। গড় পড়তা ১৩০ থেকে ১৪০-এ স্থির থাকলো স্কোর। প্রথম দিন দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৪৩ রানের মামুলি পুঁজি গড়ে হেরেছে ৫ উইকেটে। তবে ওই রান টপকে ঢাককে খেলতে হয়েছে ১৯.৩ ওভার।

Advertisement

দ্বিতীয় দিন সাকিব-সোহানের রংপুর রাইডার্স ১৩৪ রানে থামে। ওই রান অতিক্রম করতে বরিশালকে খেলতে হয় ১৯.১ ওভার পর্যন্ত। আজ সোমবার তৃতীয় দিন দুর্দান্ত ঢাকার স্কোর আটকে গেছে ১৩৪-এ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৮.২ ওভারে জয় তুলে নেয়।

৩ ম্যাচের একটিতেও স্কোর ১৪০ পার হয়নি। অথচ প্রথম দিন সিলেট স্ট্রাইকার্স আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে ঠিকই রান উঠেছে। ১৭৭ রানের বড় স্কোর গড়েও পারেনি মাশরাফির সিলেট। ৭ উইকেট হাতে রেখে ৯ বল আগে সেই স্কোর টপকে জয় তুলে নিয়েছে শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম।

স্কোরলাইন বলে দিচ্ছে দিনের ম্যাচগুলো রান খরায় ভুগছে। দিনে হওয়া তিন ম্যাচে সাকল্যে ২টি ফিফটি হয়েছে। দুটিই ছিল প্রথম দিন। যার একটি করেছেন কুমিল্লা ওপেনার ইমরুল কায়েস (৬৬)। একই ম্যাচে ঢাকার নাইম শেখের (৫২) ব্যাট থেকেও এসেছে ফিফটি।

Advertisement

তারপর আর কোন ম্যাচে কোনো ব্যাটার পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ব্যাটারদের কেন এই দুরবস্থা? কেন দিনের ম্যাচে রান খরায় ভুগতে হচ্ছে? সমস্যাটা কোথায়? উইকেটের, নাকি ব্যাটারদের?

তা নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা। প্রতিদিন খেলা শেষে প্রেসের সামনে কথা বলতে আসা ক্রিকেটারদের কাছে রান কম হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে।আজও একই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক আর চট্টগ্রামের পক্ষে ৪৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দেয়া বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ তামিম।

তারা দুজনই অকপটে স্বীকার করেছেন, সমস্যাটা ব্যাটারদের। উইকেটের না। উইকেট সম্পর্কে মোসাদ্দেকের ব্যাখ্যা, ‌'উইকেট ভাল। আজকেও ১৭০ -১৭৫ রানের উইকেট ছিল। আমরা ব্যাটাররাই খারাপ খেলেছি।'

একই কথা চট্টগ্রাম ওপেনার তানজিদ তামিমের, 'উইকেট খারাপ না। ভালই। প্রথম দিকে বল একটু গ্রিপ করে। তারপরও পিচ খারাপ না।’

Advertisement

গত পরশু উইকেট নিয়ে রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও প্রায় একই কথা বলেছেন। সোহান বলেছিলেন, 'উইকেট প্রথম দিকে একটু ‘স্টিকি’ (চিটচিটে) থাকে। তবে তাকে খারাপ বলার অবকাশ নেই।'

এআরবি/আইএইচএস/