বিপিএলের সর্বশেষ তিন আসরের অধিনায়ক তিনি। তার নেতৃত্বে সর্বশেষ দুই আসরের শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সব মিলিয়ে তার নেতৃত্বে তিনবার বিপিএল শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা। ট্রফিজয়ী অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির (৪বার) পরপরই ইমরুল কায়েসের অবস্থান। এবার তার সামনে ছিল অধিনায়ক মাশরাফিকে ছোঁয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
Advertisement
২০২৪ সালের বিপিএলে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হলে শিরোপা বিজয়ী অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি আর ইমরুল সমান হয়ে যেতেন; কিন্তু সে সুযোগ আর পেলেন না ইমরুল। তার পরিবর্তে এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন দাস।
তবে অধিনায়কত্ব না থাকলেও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার পক্ষে প্রথম মাচে ফিফটি করেছেন ইমরুল। অবশ্য দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসা ৫৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংসটি কাজে দেয়নি। ঢাকার কাছে হার দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে কুমিল্লার।
ভাবছেন ইমরুল কায়েস বুঝি হতাশ হয়ে পড়েছেন এতে? কিন্তু শুনলে অবাক হবেন, ইমরুল কায়েসের মনে এ নিয়ে কোন আফসোস বা হতাশা নেই। আজ সোমবার মিডিয়ার সামনে অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে ইমরুল বলেন, কোনো রিঅ্যাকশন নাই। কারণ এটা প্রফেশনাল জায়গা। এখানে কি অর্জন করেছি, এটার চেয়েও বড় কি হচ্ছে বা কি হবে দলের জন্য সেটা ভাবা। আমার মনে হয়, কুমিল্লা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় নিয়ে আগাচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছর কাকে দিয়ে দলটা লিড করা যাবে সেটা নিয়েই চিন্তা করছে। আমার মনে হয় এটা ভালো সংস্কৃতি।'
Advertisement
তবে অধিনায়কত্ব হাতছাড়া হলেও ইমরুল ব্যাটিং পজিশনটা হাতছাড়া করতে চান না। প্রথম ম্যাচে ওপেন করা এ বাঁ-হাতির প্রিয় পজিশনই ওপেনিং। তিনি সেখানেই খেলতে চান।
তারপরও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে, ইমরুলই পুরো আসরে ওপেনারের ভুমিকায় থাকবেন। কারণ, আজ সোমবার রাতেই মোহাম্মদ রিজওয়ান চলে আসবেন। এখন তাকে যদি ওপেনার হিসেবে খেলানো হয়, তাহলে ইমরুল কোথায় খেলবেন?
এটা নিয়ে একটা সংশয়-সন্দেহ থেকেই যাবে। যদিও ইমরুল ওপেনার হিসেবেই খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। 'বিপিএলে যতবার ওপেনার হিসেবে খেলেছি আমার সাকসেস রেটটাও অনেক বেশি। কারণ গত আসরেও আমি ওপেনিং করতে নেমে একটা ৮০+ রান করেছি। আমি টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করতে পছন্দ করি; কিন্তু কুমিল্লাতে টিম কম্বিনেশনের কারণে আমাকে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। অধিনায়ক থাকলে তো করতেই হয়।'
নিজেকে অধিনায়কের চেয়ে ক্রিকেটার ভাবতেই বেশি পছন্দ ইমরুলের, 'ক্রিকেটার হিসেবে যখন মাঠে নামি, তখন অধিনায়ক ছিলাম কিনা সেটা ম্যাটার করে না। ম্যাটার করে দলকে জেতাতে পারছি কি না। মাঠে যখনই নামি তখন দলকে জেতাতে অবদান রাখতেই মাঠে আগে যেমন নেমেছি। এখনও নামব। লিটন যদি কোনো সাহায্য চায় মাঠে অবশ্যই আমি তাকে করব।'
Advertisement
এখনো জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন আছে ইমরুলের। তার ভাষায়, 'স্বপ্ন তো ভাই যতদিন খেলি ততদিনই দেখি। জাতীয় দলে খেলা অনেক সম্মানের। যতদিন খেলে যাবো ততদিন এটা দেখে যাবো। এটা মাথায় না এলে খেলাটার কোনো মানে হয় না। আমি মনে করি, সবার ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে এটা থাকে।’
এআরবি/আইএইচএস/