আইন-আদালত

কেরানীগঞ্জে মিলেনিয়াম সিটি প্রকল্পের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

কেরানীগঞ্জের টোটাইল খাল (স্থানীয়ভাবে টোটাইল বিল বলা হয়), খাল সংলগ্ন কৃষিজমি, জলাশয় ভরাট করে গড়ে তোলা মিলেনিয়াম সিটির আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

একই সঙ্গে খাল, কৃষিজমি, জলাশয় ভরাটের পর বর্তমান অবস্থা ও ক্ষতি নিরূপণ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জনস্বর্থের এক রিটে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধূরী। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ সরকার।

Advertisement

এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র পক্ষে এ রিটটি করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

মিলেনিয়াম হাউজিং লিমিটেডের অবৈধ-অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পের জন্য মাটি ভরাট থেকে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) চিহ্নিত জলাভূমি, টোটাইল খাল, খাল সংলগ্ন কৃষিজমি, জলাশয় রক্ষা ও সংরক্ষণে বিবাদীদের ব্যর্থতা সংবিধান এবং দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি হওয়ায় কেন তা অবৈধ, জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে টোটাইল খাল, জলাশয় ও কৃষিজমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে তা সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভূমি সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজউক চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১২ বিবাদিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বেলার পক্ষে আইনজীবী বান্নার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘টোটাইল খাল, জলাশয়, বন্যা প্রবাহ অঞ্চল ও নিচু জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আর যেন ভরাট না করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Advertisement

এফএইচ/এমআইএইচএস/এমএস