দেশজুড়ে

সাইকেল নিয়ে ১৭ হাজার কি.মি পাড়ি দিলেন অনির্বাণ

অনির্বাণ আচার্য (৩০)। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকার এই যুবক সাইকেলে চড়ে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছেন। নিজ দেশের ২৫টি রাজ্য ঘুরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগরতলা-আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন তিনি।পরিবারের সবার ছোট অনির্বাণের স্কুলজীবন থেকেই মনে সাধ জাগে বিশ্বভ্রমণ করার। আর তার মতে মোটরসাইকেল কিংবা অন্যকোনো গাড়িতে নয় বরং সাইকেলে চড়েই বিশ্বটাকে খুব ভালো করে দেখা এবং চেনা যায়। আর তাই ক্যানসার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে গত বছরের ১৫ জুন ভারতের দিল্লি রাজ্য থেকে তিনি বিশ্বভ্রমণের যাত্রা শুরু করেন। ভ্রমণের ব্যয় তিনি নিজেই বহন করছেন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় অনির্বাণ জানান, পরিবারে তার বাবা-মা ও এক ভাই রয়েছেন। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তবে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়ার কারণে তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একদিন সাইকেলে চড়ে বিশ্বভ্রমণে বের হবেন তিনি। পরিবারের কেউ আক্রান্ত না হলেও নিকট এক আত্মীয় ঘাতক ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এরপরই তিনি মনস্থির করেন সাবাইকে ক্যানসার রোগের বিষয়ে সচেতন করবেন।অনির্বাণ আরো বলেন, ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়, প্রাথমিকভাবে সনাক্ত হলে প্রতিরোধ সম্ভব, আমার এই বার্তা নিয়ে সাইকেলে চড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি। যেখানে গিয়েছি সেখানেই মানুষ আমার এই বার্তা গ্রহণ করে এ ব্যাপারে প্রচারণার অঙ্গীকার করেছেন। আমি চাই স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রত্যেকটি মানুষের জীবন হউক সুন্দর, সুখে থাকুক সারা বিশ্বের মানুষ। প্রাথমিক স্তরে সনাক্ত করা গেলে ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর তাই তিনি এই বিশ্বভ্রমণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন। যদি একজনকেও সচতেন করতে পারেন তাহলেই তার এই বিশ্বভ্রমণ স্বার্থক হবে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ঘুরে তিনি রওনা হবেন মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে। পর্যায়ক্রমে ১০০টিরও বেশি দেশ ঘুরবেন বলেও জানান তিনি।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমএএস/আরআইপি

Advertisement