দেশজুড়ে

দিনাজপুরে হিমেল বাতাসে অসহনীয় হয়ে উঠছে শীত

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতিও। তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে আরও ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

Advertisement

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে দিনাজপুরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রোববার (২১ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছু বেশি কিংবা তার কম থাকছে। আজ সকাল ৯টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দিনাজপুরে এই মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের গতি ২ নটস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আরও তিন-চার দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। পুরো জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।

এদিকে আকাশ মেঘলা, কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। আর যারা জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তারা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। শীতের কারণে কাজে টিকতে পারছেন না। তারা মাঝে মাঝেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

Advertisement

অন্যদিকে দিন দিন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/জেআইএম