আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের মতো মিয়ানমার সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া বসাচ্ছে ভারত

বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে দলবেঁধে ভারতে পালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। গত কয়েকদিনে অন্তত ৬০০ সেনা মিয়ানমার থেকে মিজোরামে ঢুকেছে। এটি রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিচলিত করে তুলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেও। এ অবস্থায় বাংলাদেশের মতো মিয়ানমার সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

শনিবার (২০ জানুয়ারি) আসাম পুলিশ কমান্ডোদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের মতো মিয়ানমার-ভারতের সীমান্তও সুরক্ষিত করতে হবে।

আরও পড়ুন>> বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে ভারতে পালালো মিয়ানমারের ৬০০ সেনা

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে পারিবারিক ও জাতিগত সম্পর্ক থাকায় ১৯৭০’র দশকে দেশ দুটির সীমান্ত দিয়ে অবাধ চলাচল ব্যবস্থা (এফএমআর) চালু হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু সীমান্তে বেড়া বসানোর মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা বাতিল করতে চলেছে ভারত। এর ফলে, দেশ দুটির সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের অন্য দেশে প্রবেশের জন্য খুব শিগগির ভিসার প্রয়োজন হবে।

এদিকে, শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মিয়ানমারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে গত কয়েকদিনে প্রায় ৬০০ সেনা ভারতে প্রবেশ করেছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ক্যাম্প দখল করার পর পালিয়ে মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নেয় এসব সেনা।

আরও পড়ুন>> মিয়ানমারে জান্তা ছেড়ে বিদ্রোহীদের পক্ষে চীন?

তাদের আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই সৈন্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মিজোরাম সরকার।

Advertisement

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমার থেকে মানুষজন আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তাদের। তবে গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জান্তা সরকার।

আরও পড়ুন>> মিয়ানমার জান্তার হাতছাড়া হলো আরও একটি সীমান্ত ক্রসিং

এরই মধ্যে বেশ কিছু শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করেছে বিদ্রোহীরা এবং এর ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমারের সৈন্যরা।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/