জাতীয়

পানছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যার বিচার দাবি

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের চার নেতা হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ইউনাইটেড ওয়ার্কাস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

Advertisement

শনিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং একই সঙ্গে পাহাড়ে বিশৃঙ্খলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ‘ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ (নব্য মুখোশ) বন্ধের দাবি করেছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে একটি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গঠন করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই উঃছাড়ে বাহিনীর সদস্যরা উপজেলা সদরে আস্তানা গেড়ে খুন, গুম, ধর্ষণ, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এই ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হলো ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। গত ৬ বছরে তারা এই সংগঠনের ৫৫ জনকে হত্যা করেছে। এভাবে একের পর এক হত্যালীলা চালানোর পরও ঠ্যায়াড়েদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং কাউকে গ্রেফতায় করা হয়নি। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ বিপুল চাকমাসহ ইউপিডিএফ-ভুক্ত চার নেতাকে হত্যা করা হয়।

Advertisement

তারা আরও বলেন, অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নিরীহ ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে প্রাণ হারাতে হতে পারে, তাদের অব্যাহত চাঁদাবাজি-খুন খারাবিতে দৌরাত্ম্য জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠবে, যা সুস্থ বিবেকবোধ সম্পন্ন কোনো নাগরিকেরই কাম্য হতে পারে না।

তারা এই চারনেতা হত্যার দাবিতে ৬ দফা দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক, প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি, জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারীর সঙ্গে সভানেত্রী, কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, অমল ত্রিপুরা প্রমুখ।

এমএমএ/এমআরএম/এমএস

Advertisement