মেয়ে কুমারী হোক বা বিবাহিতা হোক তার অভিভাবকের উপর আবশ্যক কর্তব্য হলো বিয়ের পূর্বে তার অনুমতি গ্রহণ করা। পাত্রী যাকে ঘৃণা করে তার সঙ্গে বিয়ের জন্য পাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য করা জায়েজ নেই। নারীর অনুমতি ও সন্তুষ্টি ছাড়াই তার বিয়ে দেয়া হয়, তবে তার বিয়ের আকদ বা চুক্তি বাতিল করার অধিকার নারীর রয়েছে। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’টি হাদিস তুলে ধরা হলো->> হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বিবাহিতা নারীর নির্দেশ তলব ছাড়া তার বিয়ে দেয়া চলবে না এবং কুমারী নারীর অনুমতি ব্যতিরেকেও বিয়ে দেয়া যাবে না।” তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন, কুমারীর অনুমতি আবার কিভাবে? তিনি বললেন, ‘তার চপু থাকাই অনুমতি।’ (বুখারি ও মুসলিম)>> হজরত খানসা বিনতে খেজাম আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি একজন বিবাহিতা নারী ছিলেন। তার বাবা তার অনুমতি ছাড়াই তাকে বিয়ে দেন। আর তিনি এ বিয়েকে অপছন্দ করেন। হজরত খানসা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে আসলে তিনি (বিশ্বনবি) তার বিয়েকে বাতিল করে দেন।’ (বুখারি)সুতরাং বিয়ের পূর্বে নারীর অনুমতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। যা সুখী দাম্পত্য জীবনের অনুসঙ্গ। তাই বিয়ের পূর্বে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক ছেলে-মেয়ের অনুমতি গ্রহণে সুন্নাতের আমল জরুরি। আল্লাহ তাআলা এ আমল বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement