সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই নিজ শহরের পরিত্যক্ত খোয়াই নদী পরিষ্কারে নেমেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই তিনি নিজের শহর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর এলাকায় পরিত্যক্ত খোয়াই নদীতে জমে থাকা ৫০ বছরের আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করেন। এতে সহায়তা করছে বিডি ক্লিন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকশ কর্মী।
Advertisement
কাজের শুরুতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এটি খোয়াই নদীর অংশ বিশেষ। প্রায় ৫০ বছর আগে চুনারুঘাট শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে এটির গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। তখন থেকেই নদীর এ অংশটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পুরোনো খোয়াই নদীর এ অংশটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। অথচ এটি খুব সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারতো। কিন্তু ময়লার কারণে বোঝার কোনো অবকাশ নেই এটি কোনো নদী।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদীটি পরিষ্কার করার মাধ্যমেই আমার কাজের যাত্রা শুরু করতে চাই। কারণ ময়লা পরিষ্কার না করলে হঠাৎ করেই সৌন্দর্যের বাণী দেওয়া যায় না।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন হচ্ছে এখানে দুপাশে ওয়াকওয়ে করবো। নৌকা নামিয়ে দেবো। এগুলো দিয়ে মানুষ ঘুরবে। আমি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বানাতে চাই।’
Advertisement
নদীটি পরিষ্কারে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের প্রায় ৬০০ কর্মী। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান নবনির্বাচিত এমপি সুমন।
চুনারুঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভার বয়স প্রায় ২০ বছর। শুরু থেকেই পৌরসভার সব ময়লা নদীর এ অংশে ফেলা হচ্ছে। যেন এটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার কারণে এখানে নদীর কোনো চিহ্ন নেই। নদীটি পরিষ্কার করা হলে চুনারুঘাট শহরের সৌন্দর্য বাড়বে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/জিকেএস
Advertisement