পাখ-পাখালি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়াতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিনব্যাপী পাখিমেলা।
Advertisement
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।
‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ প্রতিপাদ্যে মেলার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। এটি মেলার ২৩তম আসর।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, পাখি সংরক্ষণে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতিবছর এ আয়োজন করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি পাখির আবাসস্থল এবং বিচরণ ক্ষেত্রগুলো রক্ষা করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করছি। এই পরিবেশ ধরে রাখার দায়িত্ব সবার।
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বলেন, দেশের বনবিভাগ বা যারা পাখি নিয়ে কাজ করছেন শুধু তাদের পক্ষে পাখি সংরক্ষণ সম্ভব নয়। যদি না গণমানুষ এই বিষয়ে সচেতন হয়। মানুষজন ইতোমধ্যে অনেকটা সচেতন হয়েছে। আমাদের এ অনুষ্ঠান শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিকে নিয়ে নয় বরং এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশে পাখি সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে থাকি।
এবছর মেলায় ছিল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।
এছাড়াও মেলায় পাখি তথা পরিবেশ সংরক্ষণে অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। গত এক বছরে গণমাধ্যমে পাখি ও জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ এবং দেশের পাখির ওপর সায়েন্টিফিক জার্নাল ও নিবন্ধ পর্যালোচনা করে ‘সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড’, ‘বিগ বার্ড অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘স্পেশাল রিকোগনিশন অ্যাওয়ার্ড’দেওয়া হয়।
মেলায় সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, আইইউসিএন এবং বাংলাদেশ বন বিভাগ।
Advertisement
মাহবুব সরদার/এএইচ/এমএস