চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প সরানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘উদ্যোক্তা চাইলে বাঁশখালী থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প সরাতে সরকার সহায়তা করবে।’বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ ইঙ্গিত দেন। মূলত ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদ, সংঘর্ষ ও হতাহতের প্রেক্ষিতেই তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনবহুল এ দেশে ব্যবস্থাপনা বেশ কঠিন। শহর বড় হচ্ছে। গ্রামের মানুষ শহরমুখী। জমির দাম বাড়ছে। এদিকে বিদ্যুতের সেবা বাড়াতে হলে জমির প্রয়োজন অথচ মানুষ জমি ছাড়বে না। এ বিষয়টি ব্যবস্থাপনার জন্য মাস্টার প্ল্যান থাকতে হবে। সামনের দিনগুলোতে পরিবেশ এবং বিদ্যুতের সমন্বয় হবে বড় চ্যলেঞ্জ।’তিনি আরো বলেন, ‘বিদ্যুতের সুবিধা বাড়াতে খরচ বাড়ছে, তাই দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো তিন বছর লাগবে।’ বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ও বিতরণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এ সময়ে লোডশেডিং থাকবেও বলে জানান তিনি।রাজধানীতে নিরবিচ্ছিন্ন ও ত্রুটিমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বিতরণ লাইন মাটির নিচে নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এ বছরই ধানমন্ডি এলাকায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকা শহরসহ চট্টগ্রাম ও সিলেটে একইভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এসব সিদ্ধান্তের কথাও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিলে গুলির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবারের এ ঘটনায় ৪ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে স্থানীয়দের প্রতিবাদ চলছিল।এএসএস/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement