টাঙ্গাইলে টহলের জন্য নেওয়া সিএনজিতে পর্দার কাপড় না থাকায় সুমন নামে এক সিএনজি চালকের কাপড় খুলে রাতে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপপরিদর্শক (এসআই) হাসিবুলের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ করেছেন সিএনজি শ্রমিকরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ভূঞাপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে উত্তেজিত মালিক ও শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে থানায় হাজির হন।
এ সময় শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ শ্রমিকদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা থানা ত্যাগ করেন।
বিক্ষুব্ধ সিএনজি শ্রমিকরা অভিযোগ করে জানান, ভাড়া ছাড়াই প্রতিরাতে একটা করে সিএনজি থানা পুলিশকে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সুমন নামে এক চালক সিএনজি নিয়ে পুলিশের টহল কাজে বের হন। সিএনজির পর্দা না থাকায় চালককে গালিগালাজ ও শরীরের জামাকাপড় খুলে দাঁড় করিয়ে রাখেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিবুল। এ ঘটনায় তার বিচারসহ থানা থেকে বদলির দাবি জানানো হয়।
Advertisement
সিএনজি চালক সুমন বলেন, ঘটনার পরই শ্রমিক নেতাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। তারা যেটা করেন সেটাই মেনে নেবো। তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা খুবই খারাপ আচরণ করেছেন। তার বিচার ও বদলির দাবি করছি।
অভিযুক্ত ভূঞাপুর থানার এসআই হাসিবুলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জাহিদ হাসান বলেন, চালক ও পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। পরে থানায় শ্রমিকদের উপস্থিতিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংগঠনের নেতাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে সমাধান করা হয়েছে।
Advertisement
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জিকেএস