গাজায় গর্ভপাতের হার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমিত চিকিৎসা সরবরাহ এবং হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা তাদের অনাগত সন্তানদের মৃত্যু ঠেকাতে পারছেন না এবং তাদের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। নতুন এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাজায় গর্ভপাতের সংখ্যা ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে গাজায় ওষুধ-মানবিক সহায়তা পৌঁছাল
মানবাধিকার সংস্থা কেয়ারের জরুরি পরিস্থিতিতে সুরক্ষা এবং লিঙ্গ বিষয়ক আঞ্চলিক উপদেষ্টা নুর বেইদুন মার্কিন নিউজ সাইট জেজেবেলকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সঠিক খাদ্য এবং পুষ্টির অভাবের কারণে গর্ভপাত বেড়ে গেছে।
প্যালেস্টাইন ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক আম্মাল আওয়াদাল্লাহ বলেছেন, সেখানকার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এখন অনিরাপদ পরিস্থিতিতে প্রসবের গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গাড়ি, তাঁবু এবং আশ্রয়কেন্দ্রেই তাদের সন্তান জন্ম দিতে হচ্ছে।
Advertisement
আওয়াদাল্লাহ বলেন, অনেক শিশুর জন্ম এমনকি সি-সেকশনের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহ বা অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই সম্পন্ন হচ্ছে। সঠিক সরঞ্জাম এবং ওষুধ ছাড়া রক্তক্ষরণ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে রাফায় রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ ১৬ জন নিহত হয়েছে। রাফার পূর্বাঞ্চলের একটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার পর সেখান থেকে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখন সেখানেও হামলা চালানো হচ্ছে। গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিদিনই গাজার এখানে সেখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
Advertisement
আরও পড়ুন: রাফায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১৬
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪৪৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। আহত হয়েছে আরও ৬১ হাজার ৫০৪ জন।
টিটিএন