দেশজুড়ে

তীব্র শীতে রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

তীব্র শীতের কারণে মাদারীপুরের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই জ্বর, সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেক রোগী। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যায় বেশি।

Advertisement

এদিকে আবহাওয়া অফিস বলেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় শীত ও কুয়াশা বেড়েছে। পাশাপাশি মৃদু ঠান্ডা বাতাসও বইছে। এছাড়াও জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। এসব কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে জেলা সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে অর্ধশত রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আব্দুর রহিম শান্ত জানান, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মাদারীপুরের তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এতে শীত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

শহরের শকুনি এলাকার রিকশাচালক মো. রেজ্জেক বলেন, শীতের কারণে মানুষজন বেশি বের হন না। অথচ আমাদের পেটের তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। কিন্তু তেমন একটা যাত্রী পাই না। শীতের কারণে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা গ্রামের শিমা বেগম বলেন, আমার ছেলের বয়স দুই বছর। অনেক ঠান্ডা লেগেছে। শুধু কাশি। মাঝে মধ্যে বমিও করে। পরে দুদিন হলো হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন অনেকটাই ভালো।

রাস্তি এলাকার আসমা বেগম বলেন, আমার ছোট মেয়ের কাশি ও বুকে কফ জমেছে। ওর নিউমোনিয়া হয়েছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টার্ফ নার্স ইতু বৈরাগী বলেন, ঘরের বাইরে ও ভেতর সবসময় গরম পোশাক পড়ে থাকতে হবে। এছাড়া ঠাণ্ডাজনিত রোগের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটতম হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে।

Advertisement

জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিন আরেফিন বলেন, কয়দিন ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে শীত বেড়েছে। তাই সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/জিকেএস