ইমান ও তাকওয়ার জন্য যেমন আখেরাতের পুরস্কার রয়েছে, দুনিয়ার অনেক বরকত ও পুরস্কারও রয়েছে। ইমান, তাকওয়া ও নেক আমলের কারণে আল্লাহ দুনিয়ার ধন-সম্পদ ও স্বচ্ছলতাও দান করেন। সুরা আরাফে আল্লাহ বলেছেন,
Advertisement
وَ لَوۡ اَنَّ اَهۡلَ الۡقُرٰۤی اٰمَنُوۡا وَ اتَّقَوۡا لَفَتَحۡنَا عَلَیۡهِمۡ بَرَکٰتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِআর যদি নগরবাসীরা (কোনো দেশ বা সমাজের লোকেরা) ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তাহলে আমি অবশ্যই আকাশ ও জমিন থেকে বরকতসমূহের দরজা তাদের জন্য খুলে দিতাম। (সুরা আরাফ: ৯৬)
এ আয়াতে বরকতসমূহের দরজা খুলে দেওয়া মানে দুনিয়ার জীবনে সব রকম কল্যাণের দরজা খুলে দেওয়া। জীবন, সম্পদ, সন্তান-সন্ততিসহ সব ক্ষেত্রেই ইমান ও নেক আমলের কারণে আল্লাহর বরকত দান করেন।
কোরআনের আরেকটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা কুফর ও গুনাহ থেকে ইস্তেগফার বা তওবা করলে রিজিক বৃদ্ধি, উত্তম প্রাকৃতিক পরিবেশ, সম্পদ ও সন্তান দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুনিয়ার সুখ সমৃদ্ধি দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহর নবি নুহের (আ.) ভাষায় আল্লাহ বলেছেন,
Advertisement
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ اِنَّهٗ كَانَ غَفَّارًا،يُّرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَيْكُمْ مِّدْرَارًا وَيُمْدِدْكُمْ بِاَمْوَالٍ وَّ بَنِيْنَ وَ يَجْعَلْ لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَّ يَجْعَلْ لَّكُمْ اَنْهٰرًا.আর বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)
এ আয়াতে শুধু ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার কথা বলা হলেও এর মর্মে ইমান, তাকওয়া ও নেক আমলও যুক্ত রয়েছে। ক্ষমা প্রার্থনা মানে কুফর, জুলুম ও পাপাচারের পথ ছেড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, ইমান গ্রহণ করা ও তাকওয়া অবলম্বন করা।
এ দুটি আয়াত থেকে বোঝা যায় ইমান ও তাকওয়া অবলম্বন করলে আখেরাতের পুরস্কার তো রয়েছেই, দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ বরকতের দরজা খুলে দেবেন। দুনিয়ার সুখ-সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদ ও উত্তম সন্তান-সন্ততি দান করবেন।
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement