জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায় ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহু বছরের উল্লেখ করে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি।

Advertisement

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ কথা জানান।

ইইউ রাষ্ট্রদূত হুইটলি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক। বেলজিয়ামের সঙ্গে তার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, তিনি সেখানেই লেখাপড়া করেছেন। আর বেলজিয়াম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা পিটার হাসের

Advertisement

তিনি বলেন, বৈঠকে ইইউ-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের অনেকগুলো এজেন্ডা রয়েছে। শিগগির নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছি আমরা। এটি অনেক ব্যাপক ও নতুন প্রজন্মের চুক্তি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আমাদের কথা হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। আগামীতেও বহু বছর ধরে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের বৈঠক ছিল খুবই ফলপ্রসূ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।

বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি বলেন, আমি মনে করি, নতুন অংশীদারত্ব সহযোগিতা চুক্তির (পিসিএ) ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি রয়েছে, সেটির চেয়ে এটির (পিসিএ) ধরন অনেকটা রাজনৈতিক। কারণ, আগের চুক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগিতার। যা এখনো বর্তমান আছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা ফলপ্রসূ

তিনি বলেন, বছরখানেক আগে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে। যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কও জড়িত। পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেবল এটিই গুরুত্বপূর্ণ না, বিশ্বজুড়ে যা কিছু ঘটছে এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে সেসবের যে প্রভাব পড়ছে, তা-ও বিবেচনায় নিতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি বলে বিবৃতিতে আপনি বলেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আজকের আলোচনায় কি এ প্রসঙ্গটি উঠেছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে হুইটলি বলেন, না, এ বিষয়ে কথা হয়নি। আমরা এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছি। আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। কীভাবে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আধুনিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারি, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার বিষয়।

আপনি কি অতীত ভুলে গেলেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই না, অতীতও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দল এই শহরে ছিলেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস