সাহিত্য

অনিন্দ্য নূরের চারটি কবিতা

আলোর প্লাবন

Advertisement

প্রাণের আলোর প্লাবনে—কাক ভেজা চাঁদডুবে গেছো—মুগ্ধ নীলাকাশ গঙ্গায়।অন্ধ কানাকানির দেউলিয়া বাতাসউড়িয়ে দেয় স্বপ্ন পোড়া চোখের জ্যোতি।পুঞ্জিভূত আলোর ফেরিওয়ালা নগরীতে এসো—কত সহস্র রঙিন নিয়ন আলোয়মানুষের মেকি মুখমণ্ডল—অদ্ভুত কারুকার্য!ধুলোমাখা পথ-ঘাট পার্থিব প্রকৃতি অনেকটাইচিজ মাখা স্পঞ্জের নীল দুঃখ।আলোর ফেরিওয়ালা—এবার আমাদেরভাগ্যাকাশে আহত কালো বর্ণগুলো          আলোকিত করে দাও!

****

তুমি শর্তহীন অধিকার

Advertisement

এই লোকারণ্য মধ্যবিত্ত নগরীতেতুমি আমার শর্তহীন অধিকার।রক্ষিত দেহের মানচিত্রটা—তোমার অন্ধ আদালতে           লাল রক্তের দলিলে সংরক্ষিত! হৃষ চিত্তে কাঠ গোলাপের হাসি ফেরি করোনাতবে—প্রেম উন্মাদে এ শহর নিলামে তুলে দেবেসারি সারি যুবকদের দল—যাদের পাথর চোখেআলো নেই, নীলকান্ত হৃৎপিণ্ডটাও নিমজ্জিতএক ক্ষুধার্ত মহাকাব্যের ভয়ঙ্কর প্রহসনে।বিদগ্ধ ধূমায়িত স্বপ্নের মঞ্চায়ন ভেদ করেসহস্র বছরের পার্থিব যন্ত্রণাকাতর লেনদেন।খুব নগণ্য কৌতুক আর ভালোবাসায় সব প্রেমিক দেউলিয়া পারিজাত সাধক অথচ—ভেতরটা বড্ড অন্তঃসারশূন্য চির প্রেম ভিক্ষুক!

****

মেঘফুল।

মেঘফুল।   উন্মুখ তাকিয়ে রও অহর্নিশি।      বুকে পুঞ্জিভূত ভালোবাসার অঢেল সম্পদ।          কত গ্রহ-নক্ষত্র তোমার পিয়াসে নির্ঘুম রাত জাগে।              তুমি প্রেমাক্ষরে চিরকুট লেখো কাকে—সহস্র স্বাপ্নিক রজনী ধরে!

Advertisement

****

মাতাল টিপ

এই নেশাগ্রস্ত নিশুতি রাত    পাঁজরে লুকোয় আস্ত চাঁদ!নিয়নের বিম্বিসার নগ্ন প্রদীপে—    গ্রহণ লাগে তোমার মাতাল টিপে।হায়—আড়ষ্ঠ হয় বারংবার দুর্বার বৃথা চুম্বনক্যাফেইনের ঘোরে শুধু অতৃপ্ত সত্তার আলিঙ্গন।

এসইউ/জেআইএম