ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে সেটা বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুসহ মশবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
Advertisement
পরিবেশবান্ধব কীটনাশক আমদানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব কীটনাশকই ব্যবহার করি। ২০১৯ সাল থেকে এটা আমরা আমদানি শুরু করেছি। এরই মধ্যে আরও কিছু কিছু কীটনাশক আবিষ্কার হয়েছে যেটা আরও বেশি কার্যকরী এবং পরিবেশের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে আমদানির জন্য বিভিন্নজনকে উৎসাহিত করছি। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো সীমিত আকারে এটি ব্যবহার করছে।
এক বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই কর্মসূচি আছে। এ বছরের জন্য আমাদের নতুন কোনো থ্রেট আছে কি না সেটি সবাই মিলে চিহ্নিত করতে বসেছি।
আরও পড়ুন: সারাদেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ, ধরন বদলে ছড়াচ্ছে দ্রুত
Advertisement
গত বছরের মতো এবারও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। কারণ বাংলাদেশের সব জায়গায় এটি সংক্রামিত হয়ে গেছে। এর পরিমাণ কমে যাবে সেটা বলা যাবে না।
অনেক ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় রেকর্ডের বাইরে থাকে, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাই একমাত্র পন্থা। আপনি আক্রান্ত হয়েছেন এটা আপনার জানতে হবে। আপনি আক্রান্ত হয়েছেন এটা না জানলে কাউন্ট কীভাবে করবে? মশা নিয়ে এবার কলকাতায় মিছিল হয়েছে। কলকাতার উদাহরণ দেই সেটি ঠিক আছে, কারণ কলকাতা আমাদের থেকে অনেকটা এগিয়ে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় তিন হাজার মানুষ আছে কীটনাশক ছেটানোর জন্য। ঢাকার বাইরেও সেই ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। ভলান্টিয়ার দিয়ে এটি করার ব্যবস্থা করছি। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও সচেতন করতে হবে। হঠাৎ করে একটি দুর্যোগ আসতে পারে। এখন কোভিড বিষয়ে সবাই জানে। সেজন্য জনসচেতনতা সবার দরকার।
আইএইচআর/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement