পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামের ২ নম্বর আবাসনে প্রেমিক রাব্বির বাসার সামনে অবস্থান নেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে রাব্বির বাড়ির সামনে ভীড় জমায় উৎসুক জনতা। তরুণী কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অনশনকারী তরুণী জানান, তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রায় তিন বছর আগে তার সঙ্গে একই কলেজের অনার্স পড়ুয়া লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামের রাব্বির সঙ্গে কলাপাড়া পরিচয় হয়। পরে মোবাইল ফোনে প্রেম বিনিময় ঘটে। প্রেম গভীর হলে তারা দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং গোপনে বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করতে থাকেন।
এমনকি পটুয়াখালী শান্তিবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ৯ মাস একসঙ্গে থাকেন তারা। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি রাব্বির পরিবার জানলেও কোনো কিছু না বলেই ভাড়া বাসা ছেড়ে রাব্বি লাপাত্তা হয়ে যায়।
Advertisement
ওই তরুণী জাগো নিউজকে বলেন, রাব্বী আমাকে কোনো দিনই তার বাড়িতে নিয়ে যায়নি। আমিও অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করে রাব্বিকে না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে যাই। কয়েকদিন পর ফের রাব্বি আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। পরে গত ২১ ডিসেম্বর কুয়াকাটার একটি হোটেলে কাজী ডেকে নিয়ে সেখানে আবারও কাবিন হয় আমাদের। শেষে কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে বিষের বোতল হাতে অনেশন শুরু করি। মঙ্গলবার সকালে রাব্বির বাড়িতে যাওয়ার পর রাব্বির মা তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
এ ঘটনায় ওই বাড়িতে গিয়ে রাব্বিকে খুজে পাওয়া না গেলেও তার বাবা শাহিন প্যাদা বলেন, আমার ছেলেকে কয়েকজন ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুয়াকাটায় নিয়ে বিয়ে করেছে ওই খারাপ মেয়েটা। আমরা মামলা করেছি। এছাড়া ওই মেয়ের বেশকিছু আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে আমার কাছে। আমার ছেলে ওই মেয়ের সঙ্গে কোনোদিনই ভাড়া বাসা নিয়ে থাকেনি। সব মিথ্যা এবং বানোয়াট।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এনআইবি/এএসএম
Advertisement