২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশের মোট এক হাজার ২২২ জন নাগরিককে নিজস্ব এস্কর্ট দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসব অভিবাসীদের মধ্যে ৩৯৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে। রোমানিয়ার জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
এক দশক অপেক্ষার পর চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে আংশিকভাবে ইউরোপের অবাধ চলাচলের অঞ্চল শেঙেন জোনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে রোমানিয়া।
ইইউ-এর সুনজরে থাকতে এবং শেঙেন প্রবিধান মেনে চলতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেআইনি উপায়ে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের আটক অব্যাহত রেখেছে বুখারেস্ট।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রোমানিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ দপ্তর ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানায়, ২০২৩ সালে রোমানিয়া থেকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। ওই সময় দেশটি থেকে আসা ৩৯৭ জনকে বহিষ্কার করে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে বুখারেস্ট।
Advertisement
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের অভিবাসীরা। দেশটির মোট ১৫৪ জন নাগরিককে গত বছর ইসলামাবাদে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে আছে্ন নেপাল থেকে আসা অভিবাসীরা। একই সময়ে ১২৩ জন নেপালি নাগরিককে এস্কর্ট দিয়ে রাজধানী কাঠমান্ডুতে ফেরত পাঠানোর তথ্য দিয়েছে রোমানিয়া।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার ১০৪ জন, ভারতের ৮৮ জন, মলডোভার ৫৮ জন, মিশরের ৫২ জন, মরক্কোর ৩৯ জন, ভিয়েতনামের ৩২ জন এবং সিরিয়ার ৩ জন নাগরিককে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রোমানিয়ার জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন।
বহিষ্কার করা অভিবাসীদের মধ্যে বাকিরা অন্য নানা দেশের নাগরিক।
Advertisement
অবৈধভাবে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের চেষ্টাসহ বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়া অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত যেতে আইনি নোটিশ জারি করে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ। নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা নিজ উদ্যোগে ফিরে না যাওয়ায় রোমানিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব এস্কর্ট দিয়ে অভিবাসীদের বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করেছে।
সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বড় একটি অংশ বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে রোমানিয়ায় এসেছিলেন বলে জানায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
রোমানিয়ায় বিদেশিদের অধিকার সংক্রান্ত সংশোধিত কার্যবিধির জিইও নং ১৯৪/২০০২-এর অধীনে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের সবাইকে বহিষ্কারের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এমআরএম/এএসএম