খেলাধুলা

যেভাবে জুয়াড়ির ফাঁদে পড়লেন নাসির

জুয়াড়িরা সবসময় ওঁত পেতে থাকে। ক্রিকেটারদের শুধু ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিং (ম্যাচের মধ্যে নির্দিষ্ট একটা কাজ) নয়, নানাভাবে প্রলুব্ধ করে ফাঁদে ফেলেন তারা। সেই ফাঁদেই ধরা পড়লেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন।

Advertisement

দুর্নীতির দায়ে নাসিরকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন কোড লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ স্বীকার করার পর তাকে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। এর মধ্যে ছয় মাস স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।

নাসির আসলে কী করেছেন?দুর্নীতি দমন বিভাগের তিনটি ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন-১. কোডের ধারা ২.৪.৩ লঙ্ঘন, যাতে তিনি মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে (অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে) একটি উপহারের রসিদ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন। তাকে (জুয়াড়ির পক্ষ থেকে) উপহার দেওয়া হয়েছিল ৭৫০ মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন-১২।

২. কোডের ধারা ২.৪.৪ লঙ্ঘন, যাতে তিনি নতুন আইফোন-১২ উপহার নিয়ে যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন বা দুর্নীতি করার প্রস্তাব পেয়েছেন, তার বিশদ বর্ণনা দমন কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন।

Advertisement

৩. কোডের ধারা ২.৪.৬ লঙ্ঘন, যাতে তিনি কোডের অধীনে সম্ভাব্য দুর্নীতিমূলক আচরণের বিষয়ে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বা প্রত্যাখ্যান করেছেন (সীমাবদ্ধতার কারণ দেখানো ছাড়াই)। এই ধরনের তদন্তের অংশ হিসাবে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার অনুরোধের পরও কোনো তথ্য, ডকুমেন্টেশন সঠিকভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অর্থাৎ ক্রিকেটাররা অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোনো কিছু উপহার পেলে সেটা আইসিসির দুর্নীতির আওতায় পড়ে যায়। নাসির হয়তো সেটা বুঝতে পারেননি অথবা আইফোন-১২ উপহার পাওয়ার বিনিময়ে কোনো একটি অসৎ প্রস্তাব পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। যা গোপন করে তাকে পড়তে হলো এমন বড় শাস্তির মুখে।

এমএমআর/এমএস

Advertisement