শীতে চুলের যাবতীয় সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। এ সময় চুল পড়া থেকে শুরু করে খুশকি, চুলের ডগা ভাঙা এমনকি চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন।
Advertisement
তার উপর আবার শীতে গোসলের সময় চুলে ঠান্ডা না গরম পানি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে ভাবনায় পড়েন কেউ কেউ। অনেকেই গরম পানিতে চুল পরিষ্কার করতে ভয় পান।
আরও পড়ুন: শীতে চুলের ডগা ফাটার সমস্যা বাড়ে কেন?
কারণ অনেকেরই ধারণা আছে, গরম পানি ব্যবহারে চুল উঠে যাবে। তাহলে কি সত্যিই গরম পানি দিয়ে গোসলে করলে চুলের ক্ষতি হয়? কী বলছে বিজ্ঞান?
Advertisement
আসলে চুলে গরম পানি ব্যবহার করা স্বাস্থ্যসম্মত হলেও কখন গরম পানি দেবেন, তা জানতে হবে। ঠিক সময় চুলে গরম পানি ব্যবহারে অনেক উপকার। চুলে যেদিন শ্যাম্পু করেন, পারলে সেদিনই চুলে গরম পানি দিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম পানি চুলের গোড়ায় একটি বিশেষ অনুভূতি বা সেনসেশন তৈরি করে। এটি চুলের কিউটিকলগুলো খুলে দেয়। এই কিউটিকলেই ময়লা জমে থাকে। যা চুলকে দুর্বল করে দেয়।
আরও পড়ুন: শীত পড়তেই চুল ঝরছে, ভিটামিন ই ব্যবহারে কি সমাধান হবে?
বাড়তে দেয় না। বরং এর জন্য কিছু ক্ষেত্রে চুল পড়া বেড়ে যায়। এই কিউটিকল খুলে গেলে সেখান থেকে ময়লা পরিষ্কার দেয় গরম পানি। এতে চুলের স্বাস্থ্য আরও ভালো থাকে।
Advertisement
তবে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহারের পর তা ধোয়ার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা পানির কাজ গরম পানি ঠিক উল্টো।
যে কিউটিকলগুলো খুলে চুলের ময়লা সাফ করেছিল গরম পানি, সেই কিউটিকলগুলোকেই বন্ধ করে দেয় ঠান্ডা পানি। এতে চুলের গোড়া মজবুত থাকে। একই সঙ্গে স্ক্যাল্পের ময়লাও পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শীতে বিয়ের কনে কীভাবে করবেন স্কিন কেয়ার?
শীতকাল বলে নয়, গরম পানি সব ঋতুতেই এই কাজ করে। তাই চুলের যত্ন নিতে দু’রকম পানিই সমান কার্যকরী।
তবে শুধুই গরম পানি দিয়ে গোসল করলে চলবে না। চুল ধোওয়ার সঠিক নিয়মটিও মানতে হবে। তবেই চুল ওঠার বদলে আরও পরিষ্কার ও মজবুত হবে। এতে চুল লম্বাও হবে দ্রুত।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/এমএস