ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জামালপুরের মেলান্দহে কোল্ড ইনজুরিসহ নানা রোগে ফ্যাকাশে হয়ে পড়ছে বোরো ধানের বীজতলায়। ফলে বোরো ধান আবাদে চারা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তবে কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে এটি কমে যাবে। এছাড়া তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে বলেও জানানো হয়েছে।
Advertisement
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে কিছু কিছু স্থানে বীজতলার কোথাও হলুদ, কোথাও লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। আবার অনেক জায়গায় গাছ বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোনো কোনো বীজতলার চারা একেবারেই মারা যাচ্ছে। ফলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের রুপসীহাটা এলাকার কৃষক আজগর মিয়া, মুশফিকুর লোটাস জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় চারার পাতা মরে যাচ্ছে। আরও ঠান্ডা থাকলে বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।
ঘোষারপাড়া ইউনিয়নের ছবিলাপুর এলাকার কৃষক সেলিম, এরশাদ মিয়া, আলম মিয়াসহ আরও অনেকে বলেন, কয়েকদিনের শীতে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিছু কিছু পোকাও ধরেছে। এসব চারা লাগালে ফলন তেমন ভালো হবে না।
Advertisement
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, এমন আবহাওয়ায় এটা স্বাভাবিক। কিছু বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। এতে শঙ্কিত না হয়ে কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়া উন্নতি হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এএইচ/জেআইএম