যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে বড় ধরনের জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইওয়া ককাসে সর্বাধিক সমর্থন পেয়ে বিশাল ব্যবধানে নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছেন তিনি। এর ফলে ফ্রন্টরানার হিসেবে তার অবস্থান আরও শক্ত হলো।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভয়াবহ ঠান্ডার মধ্যে আইওয়া ককাসের নির্বাচন হয়। এখনো ভোট গণনা চলছে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৭১ শতাংশ ভোট গণনার শেষে ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১ দশমিক তিন শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস পেয়েছেন ২১ শতাংশ ভোট।
আরও পড়ুন: অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ট্রাম্পের
অন্যদিকে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পেয়েছেন মাত্র ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। অপর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেক রামাস্বামী পেয়েছেন মাত্র ৭ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। সবচেয়ে কম ভোট পাওয়ার পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
Advertisement
১৯৮৮ সালে বব ডোল সবচেয়ে বড় ব্যবধানে আইওয়া ককাসের নির্বাচন জিতেছিলেন। ব্যবধান ছিল ১২ দশমিক আট শতাংশ। এবারের ভোট গণনার ট্রেন্ড বলছে, ট্রাম্প রেকর্ড ব্যবধানে জিততে চলেছেন।
আরও পড়ুন: যে কারণে ‘স্বৈরশাসক’ হতে চান ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ককাস নির্বাচনে জিতলেই জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবেন। এই ভোট শুরুর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। হ্যালির বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, মার্কিন এই কূটনীতিক একজন অপ্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক ব্যক্তি। অথচ তাকে একসময় জাতিসংঘে পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্পই।
বর্তমানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলাই তাকে পরবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া থেকে আটকাতে পারেনি।
Advertisement
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বললেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপ হলো প্রধান দুটি দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করা। এ প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। একটি হলো ককাস, অপরটি প্রাইমারি।
ককাস হলো সেই প্রক্রিয়া, যেখানে রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক পার্টি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে একটি খোলা ভোটের আয়োজন করে। এই ভোটের মাধ্যমেই সমর্থকরা আসলে কাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়, তা নির্ধারিত হয়।
আর প্রাইমারি নির্বাচন হলো এমন এক পদ্ধতি, যেখানে একটি অঙ্গরাজ্যের সরকারের অর্থায়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রক্রিয়া রাজ্যের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যান ও নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গোপন ভোট দেন। এই নির্বাচনের আরও কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যেগুলো ক্লোজড, সেমি-ক্লোজড, ওপেন, সেমি-ওপেন প্রাইমারি নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: আরও এক রাজ্যে ট্রাম্পকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রে বেশকিছু অঙ্গরাজ্যে ককাস, আবার বেশকিছু অঙ্গরাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচন হয়। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ককাস অনুষ্ঠিত হয় আইওয়াতে। নির্বাচনী বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে এই ককাস অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
এসএএইচ