দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চেয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই খুন হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৬)। বুধবার রাত ৯টার দিকে সূত্রাপুরের একরামপুর মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে ও পরে গুলিতে ঘটনাস্থলেই নাজিমুদ্দিন মারা যান।নাজিমুদ্দিন সামাদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছিলেন: ‘সরকার, এবার একটু নড়েচড়ে বসো বাবা দেশের যা অবস্থা, আইন-শৃঙ্খলার যা অবনতি তাতে গদিতে বেশিদিন থাকা সম্ভব হবে না জনরোষ বলে একটা কথা আছে এটার চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে না চাইলে এক্ষুণি কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে নতুবা দিন ফুরিয়ে আসবে দ্রুত।’সূত্রাপুর থানা পুলিশ ও নাজিমের বন্ধুরা জানিয়েছেন, নাজিমুদ্দিন সামাদ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন। তিনি ব্লগে লেখালেখি করতেন। পাশাপাশি তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। এনিয়ে ফেসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়ায় জোর সমালোচনা ও লেখালেখি হচ্ছে। নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে, ব্লগার হওয়ায় খুন হয়েছেন নাজিমুদ্দিন।নিহত নাজিমুদ্দিন জবির আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সিলেট জেলা শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। নাজিমুদ্দিন সামাদের ওপর আক্রমণের সময় তার সঙ্গে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউথ ইস্টের শিক্ষার্থী নাজিবের ওপরও আক্রমণ হয়। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি।লক্ষ্মীবাজারের কাছের একটি মেসে থাকতেন নাজিম। রাতে আরও তিন বন্ধুকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া পার্কের উদ্দেশ্যে বের হলে ঋষিকেশ দাশ লেনে অজ্ঞাত যুবকরা তাকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এরপর খুব কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিও করে তারা। ওয়ারি অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত ও পূর্ব শত্রুতার জেরে হতে পারে।জেইউ/এআর/বিএ
Advertisement