বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাণী সুরক্ষায় দেশব্যাপী অনিয়ন্ত্রিত আতশবাজি নিয়ন্ত্রণে রিট হয়েছে। প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনসহ আরও তিনটি সংগঠন এ রিট আবেদন করেছে।
Advertisement
এর আগে সংগঠনগুলোর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিট দায়েরকারী অন্য তিনটি সংগঠন হলো- পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য ন্যাচার অব বাংলাদেশ, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং মানবাধিকার সংগঠন গণঅধিকার ফাউন্ডেশন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নানান আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও বিশেষ দিনে আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
Advertisement
এছাড়া বিস্ফোরক আইন-১৮৮৪ অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্যাপসের জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজির জন্য শব্দদূষণ ১১৩% বেশি ছিল, বায়ুমান ছিল ৫০০ একিউআই পর্যন্ত, যা মানুষের সহ্য ক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি। একই রাতে সহস্রাধিক পাখি মারা গেছে, সারাদেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২০০টি।
এ বিষয়ে ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ১০২ ডেসিবল মাত্রার শব্দদূষণে ১০ মিনিট কোনো শিশু থাকলে সে স্থায়ীভাবে বধির হয়ে যেতে পারে। অনলাইনে ব্যাপক হারে যেসব আতশবাজি কেনাবেচা হচ্ছে সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সালফার, পটাশিয়াম নাইট্রেট, লেড ও ক্যাডমিয়ামের মতো ভারি ধাতুর পিএম ১০ ও ২.৫ কণা থাকে যা ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা রাখে। রাতভর আতশবাজিতে অগণিত পশুপাখি মারা যাচ্ছে। এর আগে এমন ঘটনায় একাধিক শিশুর মৃত্যুও ঘটনা ঘটেছে।
এ অবস্থায় আতশবাজির ভয়াবহতা নিরসনে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ একটি সমাধান দেবে বলে তিনি আশা করেন।
এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement