দেশজুড়ে

লাগামহীন সবজির বাজার, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা

অন্যান্য বছর শীতে সবজি আর মাছের দাম নাগালে থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। সবজির দাম এতটাই বেশি যে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে দামের কারণে ‘গরিবের মাছ’ হিসেবে পরিচিতি রুই, তেলাপিয়া আর পাঙাশ ছাড়া অন্যান্য মাছের দিকে ঝুঁকতে পারছে না সাধারণ মানুষ।

Advertisement

এদিকে বাজারে নতুন আলু আর পেঁয়াজে ভরপুর থাকলেও দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় অনেকেই দিনে চলার মতো পেঁয়াজ আর আলু কিনছেন। শনিবার খুলনা মহানগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০, সিম ৬০-৮০, বিটকপি ৪০, বাঁধাকপি ২০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, বরবটি ৬০, লাউ ৫০-৭০ টাকা, মূলা ৩০, পেঁপে ৪০, পালং শাক ৪০, লালশাক ৫০, কচু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ৬০ আর নতুন পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এ বাজারের সবজি বিক্রেতা রানা, রবিউল ও জীবন বলেন, শীতের সময় প্রতিবছর সবজির দাম কমে যায়। ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে সব ধরনের সবজি। কিন্তু এ বছর এখনো ৪০ টাকার নিচে আসছে না সবজি।

Advertisement

নগরীর সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সবজির আমদানি কম। মাঠ থেকে সবজি সরাসরি ঢাকায় চলে যায়। ফলে কমছে না দাম।

এ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আল আমিন পাটোয়ারী ও রাশেদ পাশা বলেন, একদিকে শীত, অন্যদিকে মালামাল কম আসায় দাম কমছে না।

এদিকে জোড়াকল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নিয়ামত আলী, নান্টুও রহিম বলেন, বাজারে মাছের আমদানি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কমছে না দাম। সুন্দরবন থেকেও মাছ আসছে। তবুও ৫০০ টাকার নিচে ভালো মাছ নেই।

শনিবার বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৮০ টাকা, প্রায় একই দামে পাঙাশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

এছাড়া টেংরা ৫৫০-৭০০ টাকা, পারশে মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৬০০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আলমগীর হান্নান/জেডএইচ/