আন্তর্জাতিক

যন্ত্রাংশ সংকটে বন্ধ টেসলার কারখানা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী বিভিন্ন জাহাজে আক্রমণ করছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফলে অনেক জাহাজ আর ওই রুট দিয়ে যাচ্ছে না। এর প্রভাবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে জার্মানিতে টেসলার গাড়ি তৈরির কারখানা।

Advertisement

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যন্ত্রাংশ ঘাটতির কারণে বার্লিনের কাছে অবস্থিত কারখানাটিতে গাড়ি উৎপাদনের কাজ ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে।

আরও পড়ুন>> হুথি আক্রমণ/ লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা

টেসলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের এই সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের ইয়েমেন উপকূলে বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত দাবি করে আটকও করেছে কিছু জাহাজ। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আক্রমণ চালিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনি গোষ্ঠীটি।

আরও পড়ুন>> লোহিত সাগরে পশ্চিমাদের ‘ঘুম হারাম’ করা এই হুথি কারা?

টেসলা বলেছে, লোহিত সাগরে এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজগুলো এখন কেপ অফ গুড হোপ দিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে টেসলার কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

লোহিত সাগরে সংকটলোহিত সাগরে হুথিদের আক্রমণ শুরুর পর টেসলাই প্রথম সংস্থা, যারা কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলো। হুথি আক্রমণের প্রভাব অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপরেই পড়ছে।

Advertisement

চীনের অন্যতম বড় গাড়ির কারখানা এবং সুইডেনের হোম ফার্নিশিং কারখানা গ্রাহকদের জানিয়েছে, তাদের কাছে জিনিস পৌঁছাতে দেরি হবে।

আরও পড়ুন>> নতুন সুয়েজ সংকট বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি

বিশ্বের বড় শিপিং কোম্পানিগুলো এখন সুয়েজ খাল ব্যবহার করছে না। এই পথ দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ জাহাজ চলাচল করতো।

প্রায় সব বড় শিপিং কোম্পানিই এখন কেপ এফ গুড হোপ দিয়ে তাদের জাহাজ পাঠাচ্ছে। এর ফলে শুধু ১০ দিন বেশি সময় লাগছে তা-ই নয়, এতে খরচও হচ্ছে অনেক বেশি। এশিয়া থেকে ইউরোপ যেতে ৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত জ্বালানি লাগছে।

টেসলা জানিয়েছে, এর ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে।

২০২২ সালের মে মাসে জার্মানির কারখানায় উৎপাদন শুরু করে টেসলা। সেখানে ১১ হাজার ৫০০ কর্মী কাজ করেন।

সূত্র: ডয়েচে ভেলেকেএএ/