তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন চীনবিরোধী ও স্বাধীনতাপন্থি নেতা লাই চিং-তে। এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসতে চলেছে লাইয়ের ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)।
Advertisement
লাইকে নির্বাচিত না করতে ভোটের আগেই তাইওয়ানিজ ভোটারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এই নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ ও শান্তি’র মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছিল বেইজিং। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, তাইওয়ানের ভোটাররা চীনের সেই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দেননি। দ্বীপটির বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাইকেই ভোট দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন>> তাইওয়ান নিয়ে কোনো আপস নয়: চীন
তাইওয়ানের ওপর চীনের আঞ্চলিক দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে ক্ষমতাসীন ডিপিপি। দ্বীপটির স্বাধীন পরিচয়ের পক্ষে জোরালো অবস্থান রয়েছে তাদের।
Advertisement
নির্বাচনে লাইয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি)-এর হাউ ইউ-ইহ এবং তুলনামূলক ছোট দল তাইওয়ান পিপলস পার্টির প্রধান সাবেক তাইপেই মেয়র কো ওয়েন-জে। তারা উভয়েই পরাজয় স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন>> তাইওয়ানের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন
তাইপেইয়ে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে।
নির্বাচনের আগে লাইকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী উল্লেখ করে কঠোর সমালোচনা করেছিল চীন। বলেছিল, তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার দিকে যেকোনো পদক্ষেপ মানেই যুদ্ধ। এ নিয়ে তাইওয়ানিজ ভাইস প্রেসিডেন্টের আলোচনায় বসার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল বেইজিং।
Advertisement
আরও পড়ুন>> চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণ অনিবার্য: জিনপিং
তবে লাই বলেছেন, তিনি তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে এবং দ্বীপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র: রয়টার্সকেএএ/