আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট-পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচন এমন এক সময়ে শুরু হলো, যখন জিনপিং প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে এক করে নেওয়ার কথা বলে আসছে।

Advertisement

তাইওয়ানে প্রতি চার বছর পর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারে না কেউ। এবারের নির্বাচনে প্রায় ১৮ হাজার ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট দেবেন প্রায় প্রায় ২ কোটি নাগরিক।

আরও পড়ুন: তাইওয়ান নিয়ে কোনো আপস না করার ঘোষণা চীনের কয়েক মাস ধরেই এই নির্বাচন ঘিরে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। নির্বাচন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। কারণ চীনের সঙ্গে দ্বীপটির ভবিষ্যত কী দাঁড়াবে তা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে। এমনকি, অনেকের দাবি, এই নির্বাচন বিশ্ব অর্থনীতিও প্রভাব ফেলতে পারে।

বলা হচ্ছে, তাইওয়ানের এবারের নির্বাচন এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভোটের ফলাফল চীনের সঙ্গে স্ব-শাসিত দ্বীপটির সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে ও একইসঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। সেই সঙ্গে তাইওয়ান নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলছে, তা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন: তাইওয়ানের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাইপের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) লাই চিং তে, রক্ষণশীল কোয়োমিনতাং পার্টির (কেএমটি) হো ইয়ু হই ও তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) কো ওয়েন জে। তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হলেন ডিপিপি নেতৃ সাই ইং ওয়েন, যিনি দ্বীপটির প্রথম প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ডিপিপি ও কুওমিনটাংয়ের মধ্যে। তবে সেখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতসাীন ডিপিপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দলটি যদি এবারও জয় পায়, তাহলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করবে তারা।

আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণ অনিবার্য: জিনপিং সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর থেকে মূলত দুটি রাজনৈতিক দল ডিপিপি ও কেএমটি প্রতি চার বছর পর পর জয়ী হয়ে আসছে। তবে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও ধীর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ক্ষমতাসীন দল ডিপিপির প্রতি আস্থা কমেছে তাইপের জনগণের।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন

Advertisement

এসএএইচ