দেশজুড়ে

নোয়াখালী ল্যাবএইড থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক

ল্যাবএইড নোয়াখালী শাখা থেকে রাকিব আহসান (৪৭) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে র‍্যাব। পরে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তায় ল্যাবএইড লিমিটেডে (ডায়াগনস্টিক) এ অভিযান চালানো হয়।

দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে রাকিব আহসান কথিত সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসিনসহ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সেজে রোগী দেখে আসছিলেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাওনাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আগেরও বিভিন্ন জেলায় ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত।

Advertisement

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ভুয়া চিকিৎসক প্রমাণিত হওয়ায় রাকিব আহসানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ল্যাবএইড নোয়াখালী শাখাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র‍্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার‍্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ল্যাবএইডে ভুয়া চিকিৎসক চেম্বার করার তথ্য পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল অনুসন্ধান করে আসছিল। আজ তাকে হাতেনাতে আটক করা হলো।

ল্যাবএইড নোয়াখালী শাখার ব্যবস্থাপক ইবনে কায়েস জরিমানার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, রাকিব আহসান ল্যাবএইডের বিভিন্ন শাখায় চেম্বার করেছেন। পরে ঢাকা অফিসের নির্দেশে গত পাঁচমাস তিনি নোয়াখালীতে রোগী দেখছেন।

চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের খালিশপাড়ার বাসিন্দা মাসুদ আলম (৪৫)। তিনি বলেন, ‘৭০ বছর বয়সী আমার অসুস্থ মাকে ৩০ হাজার টাকা দামের ভুয়া ইনজেকশন দিয়েছেন এই চিকিৎসক। পরে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ওই টাকা তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়।’

Advertisement

অভিযানে র‍্যাব-১১, সিভিল সার্জন কার‍্যালয় ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস