যে ব্যক্তির পেছনের কোনো নামায কাজা নেই তার যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তার জন্য পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে ওই কাজা নামাজ আদায় করা জরুরি। কাজা নামাজের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও যদি কাজা আদায় না করেই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে, তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। কাজা পড়ে আবার ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে।
Advertisement
কাজা আদায় করলে যদি ওয়াক্তের নামাজের জামাত ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকে, তবুও আগে কাজা আদায় করতে হবে। তবে ওয়াক্তের সময় খুব কম বাকি থাকলে এবং কাজা আদায় করলে ওই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকলে আগে ওয়াক্তের নামাজ পড়ে নিতে হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَذَكَرَهَا مَعَ الْإِمَامِ فَلْيُصَلِّهِ مَعَهُ ثُمَّ لِيُصَلِّ الَّتِي نَسِيَ ثُمَّ لِيُصَلِّ الْأُخْرَى بَعْدَ ذَلِكَ.
Advertisement
যে ব্যক্তি কোনো ওয়াক্তের নামাজ (ওয়াক্তের ভেতর) পড়তে ভুলে গেছে, তারপর ইমামের পেছনে (পরবর্তী ওয়াক্তের) নামাজ পড়ার সময় তার ওই নামাজের কথা মনে পড়েছে, সে যেন ইমামের সাথে নামাজটি পড়ে নেয়। এরপর যে নামাজটি পড়তে ভুলে গিয়েছিল তা আদায় করে। তারপর ইমামের সাথে যে নামাজটি পড়েছে তা আবার পড়ে নেয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ২২৫৪)
এ হাদিসটি থেকে বোঝা যায়, জামাতে নামাজ পড়ার সময় যদি মনে পড়ে, আগের কাজা নামাজ রয়ে গেছে, তাহলে তার জামাতে আদায় করা নামাজটি নফল গণ্য হবে। নামাজ শেষ হওয়ার পর কাজা আদায় করে ওয়াক্তের নামাজ আবার আদায় করতে হবে।
ওএফএফ/এমএস
Advertisement