গাজায় প্রায় ১০০ দিনের সংঘাতে ১০ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার মোট শিশুর এক শতাংশই সংঘাতের বলি হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যার অভিযোগ/ আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি ইসরায়েল
সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুরা শারীরিক আঘাত, অগ্নিদগ্ধ, বিভিন্ন রোগ, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা এবং তাদের বাবা-মা এবং অন্যান্য প্রিয়জনকে হারানোসহ নির্মম ভয়াবহতা সহ্য করছে।
হাজার হাজার আহত শিশুর মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার শিশু একটি বা দুই পা-ই হারিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা জেসন লি আল জাজিরাকে বলেন, এগুলো কেবল সংখ্যা নয়। এই প্রতিটি সংখ্যাই এক একটি শিশু।
Advertisement
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এখানে সেখানে ভবনের ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকা গাজা যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৩ হাজার ৪৬৯ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। আহত হয়েছে আরও ৫৯ হাজার ৬০৪ জন।
এদিকে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েল। আগের দিন বৃহস্পতিবার শুনানিতে অংশ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরের শেষ দিকে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Advertisement
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা, শুরু হয়েছে শুনানি
যদিও এর আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে তার কোনো ভিত্তি নেই এবং দেশটি হামাসের সুরে কথা বলছে। ১৯৪৮ সালের কনভেনশনে একটি জাতি, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
টিটিএন