লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। একটি কূটনৈতিক সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, এই হামলার পর রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই হামলাকে জাতিসংঘের সনদের লঙ্ঘন বলে মনে করে।
Advertisement
আরও পড়ুন: এবার ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি অধিবেশন ডাকারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। শুক্রবার সকালে ইয়েমেনের বেশ কিছু স্থানে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ওই হামলার বিষয়ে হুথি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে এই আগ্রাসনের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, হুথিদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে সহায়তা করেছে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের যুদ্ধবিমান।
Advertisement
তিনি বলেন, এই হামলা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং বাহরাইন এই মিশনে সমর্থন দিয়েছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা, লোহিত সাগরের হুদাইদাহ বন্দর, ধামার এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাদায় অবস্থিত হুথি বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: ফের লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণই হুথিদের হাতে। গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে তারা দৃঢ়ভাবে হামাসকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। মূলত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই যুদ্ধের ঢেউই পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। হুথি বিদ্রোহীরা সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। এদিকে হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার ঘটনায় ওই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Advertisement
টিটিএন