খেলাধুলা

ধর্মসেনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত গেইলদের!

ক্রিকেটে মাঝে মাঝে ভাগ্যেরও সহায়তার দরকার হয়। গত রোববার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভালো খেলেই টি-টোয়েন্টির বিশ্ব শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ; কিন্তু এতে ভাগ্যের সহায়তাও নেহাত কম ছিল না। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট এবং মারলন স্যামুয়লসের কল্যাণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় তাদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপার স্বাদ। ম্যাচ শেষে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন মারলন স্যামুয়েলস; কিন্তু তার এতো দূর আসা সম্ভব হতো না যদি না কুমার ধর্মসেনা থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য না নিতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক পর্যায়ে মাত্র ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসেছিল। এরপর ৩৭ রানে থাকা অবস্থায় সামুয়েলসও উইকেটের পেছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন। আম্পায়ার রড টাকার আঙুল তুলে আউট দিয়ে দেন। ব্যাটে বল লাগলেও ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না বলটা মাটি ছুঁয়েছিল কি না। তবুও রড টাকার আউট দিয়ে দিলে সামুয়েলস প্যাভিলয়নের দিকে হাটা শুরু করেন; কিন্তু নন স্ট্রাইকে থাকা আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার আউটটা নিয়ে সন্দেহ জাগে। ধর্মসেনা আম্পায়ার রড টাকারের সাথে কথা বলেন। তখনো টাকার নিশ্চিত ছিলেন যে এটা আউট; কিন্তু ধর্মসেনা আবারো সন্দেহ প্রকাশ করলে রড টাকার থার্ড আম্পায়ার মারিয়াস ইরাসমাসের সাহায্য নেন। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেল বল মাটি ছুঁয়েই বাটলারের হাতে তালুবন্দি হয়। থার্ড আম্পায়ার নট আউট দেয়ার পরেই স্যামুয়েলসকে আবার ফেরত আনা হয় মাঠে। শেষ পর্যন্ত সেই স্যামুয়েলসের হাতেই শেষ হলো ইংল্যান্ড এবং ফ্যাইনাল সেরা হন তিনি। ম্যাচ শেষে এমন অসাধারণ কর্মের জন্য আইসিসির প্রশংসায় ভাসেন ধর্মসেনা। ২০১২ সালে আইসিসির সেরা আম্পায়ারও হয়েছিলেন সাবেক এই শ্রীলংকান ক্রিকেটার। ওই সময় থার্ড আম্পায়ার ডাকার কারণে তার প্রতি কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের।  আরআর/আইএইচএস/এবিএস

Advertisement