পাপুয়া নিউ গিনিতে বড় ধরনের দাঙ্গার কারণে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেতন নিয়ে বিরোধের জের ধরে পুলিশের ধর্মঘটে যাওয়ার পর শত শত লোক রাস্তায় নেমে আসে। বেশ কিছু দোকান ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং সুপারমার্কেটে লুটপাট করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
আরও পড়ুন: টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে ঢুকে বন্দুকধারীদের তাণ্ডব
ন্যাশনাল ক্যাপিটাল ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর পাওয়েস পার্কপ রেডিওর এক সম্প্রচারে বলেন, সুবিধাবাদী লোকজনই এই লুটপাট চালিয়েছে। সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
রেডিওর ভাষণে পাওয়েস পার্কপ বলেন, আমরা আমাদের শহরে নজিরবিহীন সংঘর্ষ দেখেছি। এমন ঘটনা আমাদের কোনো শহরে এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। তিনি বলেন, দুঃখজনক যে, বেশ কয়েকজন জীবন হারিয়েছেন।
Advertisement
পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা সম্প্রতি জানতে পারেন যে, তাদের বেতন ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানার পর বুধবার সংসদের বাইরে বিক্ষোভ ধর্মঘট করেন তারা। এরপরেই বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জানিয়েছেন, কম্পিউটারে ত্রুটির কারণে সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রায় ১০০ ডলার কেটে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সদস্যরা প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নেমে আসেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন কিছু মানুষ।
টেলিভিশনের বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর মানুষ হুড়োহুড়ি করে এখানে সেখানে লুটপাট চালাচ্ছে। একটি বড় শপিং সেন্টারসহ বেশ কিছু ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি
Advertisement
অ্যাম্বুলেন্স সেবাদানকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এদিকে পাপুয়া নিউ গিনিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের কমাউন্ডের কাছে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
টিটিএন