আন্তর্জাতিক

জার্মানিতে এক বছরে আশ্রয় আবেদন বেড়েছে ৫১ শতাংশ

২০২৩ সালে জার্মানিতে আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯১৫টি। এই সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় অন্তত ৫১ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজিস (বিএএমএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

২০১৬ সালের পর গত বছরই সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ইউরোপীয় দেশটিতে। ওই বছর সেখানে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ২২ হাজার ৩৭০টি।

আরও পড়ুন>> যেভাবে বদলে যাচ্ছে জার্মানির অভিবাসন নীতি

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২৩ সালের আশ্রয় আবেদনের এই পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে আমাদের অবশ্যই ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

Advertisement

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার অনিয়মিত অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কারণ, জনমত জরিপে ডানপন্থি দলগুলোর তুলনায় পিছিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।

আরও পড়ুন>> জার্মানির নাগরিকত্ব পেতে ইসরায়েলকে সমর্থনের শর্ত

অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে কয়েক মাস ধরে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে করেছে জার্মানি। আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়া ব্যক্তিদের বিতাড়ন বা ডিপোর্ট প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এই চুক্তির মধ্য দিয়ে যাদের আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে, তাদের আবেদন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্তে যাচাই-বাছাই করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন>> আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা জার্মানির

বিএএমএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন করেছেন সিরীয় নাগরিকরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ১ লাখ ৪ হাজার ৬৫১ জন নাগরিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে এর পরেই রয়েছে তুরস্কের নাম। দেশটির ৬২ হাজার ৬২৪ জন নাগরিক জার্মানিতে আশ্রয় চেয়েছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের নাম রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। ৫৩ হাজার ৫৮২ জন আফগান নাগরিক আশ্রয় চেয়েছেন জার্মানিতে।

আরও পড়ুন>> জার্মানিতে বাসস্থান সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

এরপরে রয়েছে ইরাক (১২ হাজার ৩৬০ জন), ইরান (১০ হাজার ২০৬ জন), জর্জিয়া (৯ হাজার ৩৯৯ জন) এবং রাশিয়া (৯ হাজার ২০৮ জন)।

জার্মানিতে প্রথমবারের মতো অন্তত ২৩ হাজার শিশুর জন্য আশ্রয় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, যাদের বয়স এক বছর বা তার চেয়েও কম। এদের প্রত্যেকের জন্ম জার্মানিতে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর অন্তত ১০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। তাদের অবশ্য আশ্রয়ের জন্য কোনো আবেদন করতে হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় যুদ্ধ শরণার্থীদের তাৎক্ষণিক অস্থায়ী সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালে জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিভিন্ন দেশের ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৭৪ জন মানুষ। সংখ্যাটি ছিল তার আগের বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস, রয়টার্সকেএএ/