বাঁশখালীতে হরতালের কোনো প্রভাব নেই। যাদের জন্য হরতাল তারাই জানে না হরতালের খবর। হরতাল ডেকে মাঠে নেই বাঁশখালী ছাত্র ঐক্য ফোরাম। তবে কাদের জন্য এ হরতাল? স্থানীয়দের মতে হরতালের নামে কি আবারো বিক্রি করা হচ্ছে গন্ডামারার লোকজনকে?মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয় ‘বাঁশখালী ছাত্র ঐক্য ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন।এদিকে হরতালের কোনো খবর বা পিকেটিং না থাকলেও ঢিলেঢালাভাবেই চলছে আজকের হরতাল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাঁশখালীর কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদর ও ইউনিয়নগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। খোলা রয়েছে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার কোথাও হরতালের সমর্থনে কোনো কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে সোমবারের সংঘর্ষস্থল গন্ডামারা ইউনিয়নে এখনো জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি।বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘বাঁশখালীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখানে হরতালের সমর্থনে কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’এদিকে বাঁশখালীর ভিটেবাড়ি ও কবরস্থান রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান লেয়াকত আলী বলেন, হরতাল আহ্বানকারীরা মাঠে না থাকলেও মোটামুটি হরতাল পালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরো গন্ডামারা এলাকাকে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি কর্ডন করে রেখেছে। প্রশাসনের ধর-পাকড়ের ভয়ে কেউ মাঠে নামেনি। তবে এলাকায় এখনো বিক্ষোভ চলছে বলে জানান তিনি। জীবন মুছা/এসএইচএস/এবিএস
Advertisement