জাতীয়

ইউনাইটেডের পরিচালক ও দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা আয়ান আহমেদ মারা গেছে। তার মৃত্যুর ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন শিশুর বাবা মো. শামীম আহমেদ।

সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী।

তিনি বলেন, শিশু আয়ানের বাবা মো. শামীম আহমেদ অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। মামলায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও পরিচালককে আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইউনাইটেডে খতনা করাতে এসে মৃত্যু: কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এনেসথেসিয়া স্পেশালিস্ট ডা. সাইদ সাব্বির আহমেদ, হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. তাসনুবা মাহজাবিন। তবে হাসপাতালের পরিচালকের নাম জানা যায়নি।

শিশু আয়ানের বাবা শামীম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়ছি। কতটুকু সফল হবো জানি না। এ হাসপাতাল আমাদের বাসা থেকে কাছে, আর অনেক বড় প্রতিষ্ঠান দেখেই এখানে আসা। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আগামীকাল মানববন্ধন করবো, এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাবো।

আয়ানের দাদা আবদুস সালাম কবীর জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এক কাপড়ে আছি গত ১০ দিন ধরে। আমার ফুটফুটে সুন্দর নাতিরে ওরা মেরে ফেলেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মারা গেলো ইউনাইটেডে খতনা করাতে এসে লাইফ সাপোর্টে থাকা আয়ান

এই বলে তিনি কান্না করে দেন। বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই, যাতে তিনি আমাদের দিকে দেখেন। তিনি যাতে এর কোনো ব্যবস্থা নেন।

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও মেডিকেল শাখার পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মাঈনুল আহসান জাগো নিউজকে জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধানের নেতৃত্ব চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য তিন সদস্যের মধ্যে একজন মুগদা হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ, আরেকজন মুগদা হাসপাতালেরই সহকারী পরিচালক। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালকও রয়েছেন এ কমিটিতে।

টিটি/জেডএইচ/এমএস